img

সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনী (বিএসএফ) আধুনিক যুদ্ধ কৌশলে দক্ষতা বাড়াতে মধ্যপ্রদেশের টেকনপুরে তাদের প্রশিক্ষণ একাডেমিতে চালু করল দেশের প্রথম ড্রোন যুদ্ধ প্রশিক্ষণ স্কুল। মঙ্গলবার বিএসএফ-এর মহাপরিচালক (ডিজি) দলজিৎ সিং চৌধুরী এই কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। 

এই প্রশিক্ষণ স্কুলের লক্ষ্য হলো ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর পরে উদ্ভূত নতুন যুদ্ধ পরিস্থিতির মোকাবেলায় বিএসএফ কমান্ডোদের প্রস্তুত করা। এ ছাড়া পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত রক্ষা করা।

অপারেশন সিঁদুরের মতো মিশনে বিএসএফের এই ইউনিটগুলোকে মোতায়েনের পরিকল্পনা রয়েছে।

 

বিএসএফ-এর মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এই ড্রোন ওয়ারফেয়ার স্কুল সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীকে আধুনিক কৌশলগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষ প্রশিক্ষণ দেবে।’ এখানে ৫টি বিশেষ কোর্স থাকবে। যার মধ্যে রয়েছে, ড্রোন (ইউএভি) পরিচালনা, অ্যান্টি-ড্রোন যুদ্ধ কৌশল, নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, লাইভ ড্রোন উড়ানোর জোন ও সিমুলেটর, নাইট অপারেশনের সুবিধা, পেলোড ইন্টিগ্রেশন সিস্টেম, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) জ্যামার, কিনেটিক ইন্টারসেপ্টর, এআই ও মেশিন লার্নিং ভিত্তিক টুলস।

 

স্কুল উদ্বোধনের পর বিএসএফ মহাপরিচালক প্রশিক্ষণার্থী অফিসারদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। এসময় তিনি রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ তুলে ধরেন, যেখানে ড্রোন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে। তিনি বলেন, ‘শুধু ওই যুদ্ধই নয়, অন্যান্য সংঘর্ষেও ড্রোন কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।’ পাশাপাশি পহেলগাম সন্ত্রাসী হামলার প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারত পরিচালিত ‘অপারেশন সিন্দুর’-এর কৌশলগত সাফল্যের কথাও উল্লেখ করেন বলে এক বিএসএফ কর্মকর্তা জানান।

 

কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘চৌধারি তার বক্তৃতায় আধুনিক যুদ্ধে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ও মেশিন লার্নিং (এমএল)-এর ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তিনি সক্রিয় ও অস্ত্রসজ্জিত ড্রোন ব্যবহারের গুরুত্ব, সিদ্ধান্তমূলক ফলাফলের জন্য এ ধরনের প্রযুক্তির প্রয়োগ, এবং এফপিভি বা প্রথম-ব্যক্তির দৃষ্টিভঙ্গি ভিত্তিক কামিকাজে ড্রোনের কার্যকারিতা সম্পর্কে আলোকপাত করেন।’ একইসঙ্গে, জাতীয় নীতিতে কৌশলগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার বিষয় নিয়েও কথা বলেন।

সূত্র : দ্য টেলিগ্রাফ অনলাইন

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ