img

ভারতের মণিপুর রাজ্যে আগামী ৭ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কোনো পুলিশ কর্মকর্তা বা সদস্য ছুটি নিতে পারবেন না—এমন নির্দেশনা জারি করেছে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দপ্তর। 

রাজ্যের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য ওয়্যার-কে জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সম্ভাব্য সফরের কারণে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মোদির সফরসূচিতে রাজধানী ইম্ফল ছাড়াও সহিংসতায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা চূড়াচাঁদপুরের নাম রয়েছে বলে জানা গেছে।

গত ৩১ আগস্ট দ্য হিন্দু জানায়, সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে মণিপুর সফরে যেতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।

২০২৩ সালের মে মাসে জাতিগত সহিংসতা শুরুর পর এটাই হবে তার প্রথম সফর।

 

মণিপুরে গত দুই বছরে সহিংসতায় প্রাণ গেছে ২৬০ জনের বেশি মানুষের। বাস্তুচ্যুত হয়েছেন ৬০ হাজারেরও বেশি। এখনো হাজারো মানুষ ত্রাণশিবিরে বাস করছেন।

 

সহিংসতার জন্য রাজ্যের মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের মধ্যকার গভীর বিভেদকে দায়ী করা হচ্ছে।

মোদির সম্ভাব্য সফরের আগে দুটি বিষয়কে গুরুত্বপূর্ণ ধরা হচ্ছে—কুকি-জো গোষ্ঠীর সঙ্গে সাসপেনশন অব অপারেশনস (এসওও) চুক্তি এবং রাজ্যে নতুন মুখ্যমন্ত্রী নিয়োগ ও পূর্ণাঙ্গ সরকার গঠন। 

২০০৮ সালে শুরু হওয়া এসওও চুক্তি অনুযায়ী বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোকে নির্দিষ্ট ক্যাম্পে অবস্থান ও অস্ত্র তালাবদ্ধ করে রাখতে হয়। তবে ২০২৩ সালের সহিংসতার পর থেকে কুকি গোষ্ঠী স্বতন্ত্র প্রশাসনের জোর দাবি তুলেছে।

মেইতেই সম্প্রদায় এর কড়া বিরোধিতা করেছে।

 

নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে দ্য ওয়্যার জানিয়েছে, কেন্দ্র থেকে কুকি সংগঠন ইউপিএফ ও কেএনও-কে নতুন আলোচনার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। তবে নয়াদিল্লি যদি ‘স্বতন্ত্র প্রশাসন’-এর দাবি মেনে নেয়, তাহলে মেইতেইদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয় রাজনৈতিক দলগুলোর।

এর আগে দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় গত ফেব্রুয়ারিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পদত্যাগ করেন। এরপর থেকে মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন চলছে।

বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ দাবি করছে, ৬০ আসনের মধ্যে ৪৪ জন তাদের সঙ্গে আছে। ফলে নতুন সরকার গঠনের আলোচনা তীব্র হচ্ছে। 

 

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ