img

ইসরায়েল হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের প্রচেষ্টায় সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলে সোমবার জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এ ছাড়া বৈরুতের গোষ্ঠীটির অস্ত্র জব্দের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ‘পারস্পরিক পদক্ষেপ’ নেওয়ার প্রস্তাব দেন তিনি।

গত বছর ইরান-সমর্থিত হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের যুদ্ধের পর লেবাননের সেনাবাহিনী দেশটির দক্ষিণে মোতায়েন রয়েছে এবং সেখানে গোষ্ঠীটির অবকাঠামো অপসারণ করছে।

হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণের জটিল ইস্যু নিয়ে লেবানন লড়ছে।

 

চলতি মাসে মন্ত্রিসভা সেনাবাহিনীকে বছরের শেষ নাগাদ এ বিষয়ে পরিকল্পনা তৈরির দায়িত্ব দিয়েছে।

 

যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল লেবাননে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে এবং বলছে, হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণ না হওয়া পর্যন্ত তা চলবে। ইসরায়েলি বাহিনী এখনো দক্ষিণের পাঁচটি এলাকায় অবস্থান করছে, যেগুলোকে তারা কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে।

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রকাশিত বিবৃতিতে নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েল হিজবুল্লাহ নিরস্ত্রীকরণে লেবাননের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে এবং উভয় দেশের জন্য আরো নিরাপদ ও স্থিতিশীল ভবিষ্যতের দিকে একসঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত।’

 

তিনি আরো জানান, লেবাননের সরকার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলে ইসরায়েল ‘পারস্পরিক পদক্ষেপ নেবে, যার মধ্যে রয়েছে মার্কিন নেতৃত্বাধীন নিরাপত্তাব্যবস্থার সঙ্গে সমন্বয় করে ধাপে ধাপে আইডিএফ (সামরিক) উপস্থিতি হ্রাস।’

হিজবুল্লাহ একমাত্র গোষ্ঠী যারা ১৯৭৫-১৯৯০ সালের লেবাননের গৃহযুদ্ধের পরও অস্ত্র ধরে রেখেছিল। গত বছরের ইসরায়েলের সঙ্গে যুদ্ধে গোষ্ঠীটি ব্যাপকভাবে দুর্বল হয়েছে।

চলতি মাসের শুরুতে হিজবুল্লাহ নেতা নাঈম কাসেম ঘোষণা দেন, তাদের নিরস্ত্রীকরণের সরকারি পরিকল্পনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।

 

 

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সোমবার দক্ষিণ লেবাননে শান্তিরক্ষা মিশনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভোট দেবে। এ মিশনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের আপত্তি রয়েছে।

পরিষদ ফ্রান্স প্রস্তাবিত সমঝোতা খসড়ায় ভোট দেবে, যাতে বলা হয়েছে ১৯৭৮ সালে ইসরায়েল-লেবাননকে আলাদা করতে গঠিত জাতিসংঘের অন্তর্বর্তীকালীন বাহিনী (ইউএনআইএফআইএল) আরো এক বছর রাখা হবে ও প্রত্যাহারের প্রস্তুতি নেবে। খসড়া অনুযায়ী বাহিনীর ম্যান্ডেট ৩১ আগস্ট ২০২৬ পর্যন্ত বাড়ানো হবে।

এই বিভাগের আরও খবর