img

বিশ্বের সাবেক এক নম্বর টেনিস তারকা ও ২৪ বারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী নোভাক জোকোভিচ নিজ দেশ সার্বিয়ায় কঠিন সময় পার করছেন। গেল বছর ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে সমর্থন দেওয়ার পর থেকেই তিনি সরকারের রোষানলে পড়েছেন। চাপ, সমালোচনা আর নেতিবাচক প্রচারণায় এতটাই বিপাকে পড়েছেন যে পরিবার নিয়ে গ্রিসে চলে যাওয়ার কথাও ভাবছেন তিনি।

গ্রিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সার্বিয়ান সরকার জোকোভিচকে ইচ্ছাকৃতভাবে ‘লক্ষ্যবস্তু’তে পরিণত করেছে।

 

২০২৪ সালের নভেম্বরে নোভি সাদ শহরে একটি রেলস্টেশনের ছাউনি ধসে ১৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে এর সূত্রপাত হয়। ওই ঘটনার পর স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশের দুর্নীতির অভিযোগে দেশজুড়ে ছাত্রনেতৃত্বাধীন আন্দোলন শুরু হয়, যা ছড়িয়ে পড়ে চার শতাধিক শহরে। 

 

এই আন্দোলনের পক্ষেই দাঁড়ান জোকোভিচ। ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে তিনি এক্স বার্তায় লেখেন, ‘যুবসমাজের শক্তি ও তাদের সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্নে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি।

 

তাদের কণ্ঠস্বর শোনা জরুরি। সার্বিয়ার অসীম সম্ভাবনা আছে, আর শিক্ষিত তরুণরাই দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের যা দরকার, তা হলো বোঝাপড়া আর সম্মান।’

 

এরপর জানুয়ারিতে সরকারি দমন–পীড়নের নিন্দা জানান তিনি।

 

ঠিক তখন থেকেই সরকারপন্থী গণমাধ্যমে শুরু হয় জোকোভিচবিরোধী প্রচারণা। স্থানীয় দৈনিক ইনফর্মার প্রথমে তার অবস্থানকে ‘লজ্জাজনক’ বলে আখ্যা দেয়। পরে যখন খবর বের হয় যে তিনি পরিবার নিয়ে গ্রিসে যাওয়ার কথা ভাবছেন, তখন তাকে বলা হয় ‘ভুয়া দেশপ্রেমিক’। এমনকি তার বাবার বিরুদ্ধেও আজগুবি শিশুকামিতার অভিযোগ ছড়ায় পত্রিকাটি।

 

সমালোচনার ঝড় থামেনি উইম্বলডন নিয়েও।

 

চলতি বছরের আসরে শিরোপা জয়ের পর নাচের ভঙ্গিতে উদযাপন করেন জোকোভিচ। অনেকেই মনে করেন এটি ছাত্র আন্দোলনের স্লোগান ‘পাম্প’-এর প্রতি ইঙ্গিত। যদিও জোকোভিচ তা অস্বীকার করে বলেন, ‘এটি পুরোপুরি ব্যক্তিগত বিষয়। আমার সন্তানদের সঙ্গে আমরা অনেক দিন ধরে ‘পাম্প ইট আপ’ নামের একটি পুরনো গান গাই ও নাচি। এ নিয়ে রাজনীতির কিছু নেই।’ 

 

এই বিভাগের আরও খবর