img

পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত বৃহস্পতিবার দেশটির কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে আটটি মামলায় জামিন দিয়েছেন। এসব মামলা ২০২৩ সালের মে মাসে সামরিক স্থাপনায় হামলা ও ৯ মে তে হওয়া দাঙ্গা সম্পর্কিত ছিল বলে আদালতের নথি ও তার আইনজীবী জানিয়েছেন।

এর মাধ্যমে লাহোর হাইকোর্টের দেওয়া রায় বাতিল করা হয়, যেখানে আটটি মামলায় খানের জামিন আবেদন নাকচ হয়েছিল।

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইয়াহিয়া আফ্রিদির নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ, যার মধ্যে বিচারপতি মুহাম্মদ শফি সিদ্দিকী এবং হাসান আজহার রিজভীও ছিলেন, আজ আবেদনগুলোর শুনানি পুনরায় শুরু করে।

 

পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার পক্ষে ব্যারিস্টার সালমান সফদার উপস্থিত ছিলেন ও পাঞ্জাবের বিশেষ প্রসিকিউটর জুলফিকার নকভি রাষ্ট্রপক্ষের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন।

 

উভয়ই তাদের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন, এর পরে প্রধান বিচারপতি বেঞ্চের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেন।

আদালত ৭২ বছর বয়সী খানের মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন—যদি তিনি অন্য কোনো মামলায় দোষী সাব্যস্ত না হয়ে থাকেন। তবে দুর্নীতির এক মামলায় দোষী সাব্যস্ত থাকায় খান আপাতত জেলেই থাকবেন।

 

ক্রিকেটার থেকে রাজনীতিক হওয়া খান দুর্নীতি থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদ পর্যন্ত নানা মামলার মুখোমুখি হচ্ছেন, যা তিনি ‘ভুয়া মামলা’ বলে দাবি করেন। তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) বহু নেতা ও সংসদ সদস্য সাম্প্রতিক সময়ে একই ধরনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। যাদের মধ্যে সংসদের দুই কক্ষের বিরোধী নেতারাও আছেন। 

২০২৩ সালের মে মাসে দুর্নীতির এক মামলায় খানকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য গ্রেপ্তার করা হলে তার সমর্থকরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন।

 

সেই সময় রাওয়ালপিন্ডির সেনানিবাস শহরে অবস্থিত সেনাবাহিনীর প্রধান কার্যালয়সহ কয়েকটি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়।

 

সূত্র : ডন, আনাদোলু

এই বিভাগের আরও খবর