img

দেশের তিন বিভাগের বেশ কিছু নদ-নদীর পানি আরো তিন দিন বাড়তে পারে। ফলে ১০ জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। 

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র (বাপাউবো) এক নজরে নদ-নদীর পরিস্থিতি ও পূর্বাভাস প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সব প্রধান নদ-নদীর পানি সমতল বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলেও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

 

জানা গেছে, ভারতের দক্ষিণ ওড়িশাতে অবস্থানরত স্থল নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে স্থল লঘুচাপ হিসেবে ভারতের ছত্তিসগর ও মধ্যপ্রদেশসংলগ্ন স্থানে অবস্থান করছে। 

 

পাউবোর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের অভ্যন্তরে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়নি। তবে ভারতের আসাম ও মেঘালয় প্রদেশে ভারি বৃষ্টিপাত পরিলক্ষিত হয়েছে।
 
চট্টগ্রাম বিভাগের ফেনী, মুহুরী, সেলোনিয়া, হালদা, সাঙ্গু, মাতামুহুরি, নোয়াখালী খাল ও রহমতখালী খাল-নদীর পানি আগামী ৩ দিন বাড়তে পারে এবং সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে।

 

এ সময়ে ফেনী, চট্টগ্রাম, বান্দরবান, কক্সবাজার, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

 

সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, লুবাছরা, জাদুকাটা, ঝালুখালী, মনু, ধলাই ও খোয়াই নদীর পানি ৩ দিন বৃদ্ধি পেতে পারে এবং সতর্কসীমায় প্রবাহিত হতে পারে। একই সময়ে সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার নদীসংলগ্ন নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে।

ব্রহ্মপুত্র নদের পানি সমতল আগামী ২ দিন কমতে পারে।

 

সেই সঙ্গে পরবর্তী ৩ দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। যমুনা নদীর পানি সমতল আগামী ৩ দিন কমতে পারে। এ ছাড়া পরবর্তী দুই দিন স্থিতিশীল থাকতে পারে। গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি সমতল আগামী ৫ দিন কমতে পারে। 

 

এই বিভাগের আরও খবর