img

আলাস্কায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আসন্ন শীর্ষ বৈঠকের আগে কিয়েভের স্বার্থ রক্ষায় তৎপর হয়ে উঠেছেন ইউরোপ ও ইউক্রেনের নেতারা। বুধবার ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে কথা বলবেন জার্মানি, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, ব্রিটেন, ইতালি, পোল্যান্ড, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর নেতারা।

ট্রাম্প শুক্রবার আলাস্কায় পুতিনের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন— যা তিনি বর্ণনা করেছেন ‘পরীক্ষামূলক’ বৈঠক হিসেবে। রাশিয়ার সঙ্গে ২০২২ সালের যুদ্ধ শুরুর পর থেকে পশ্চিমা বিশ্বে পুতিন একঘরে হলেও, ট্রাম্প হঠাৎ করেই প্রথম মার্কিন-রাশিয়া শীর্ষ বৈঠকে রাজি হয়েছেন।

 

তার দাবি, মস্কোতে মার্কিন দূতের আলোচনায় ‘উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি’ হয়েছে।

 

তবে ট্রাম্প স্পষ্ট জানিয়েছেন, যুদ্ধ থামাতে কিয়েভ ও মস্কো উভয়কেই কিছু জমি ছাড়তে হবে। বর্তমানে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের প্রায় এক-পঞ্চমাংশ এলাকা দখলে রেখেছে। এতে ইউরোপে শঙ্কা তৈরি হয়েছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া একক সিদ্ধান্ত নিয়ে ইউক্রেনকে অস্বস্তিকর চুক্তিতে ঠেলে দিতে পারে।

 

পূর্ব ইউরোপের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘এমন কিছু যাতে না ঘটে, সেটিই এখন আমাদের মূল লক্ষ্য—মার্কিন অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রাখছি এবং ইউরোপীয় ঐক্য অটুট রাখছি।’

জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রেডরিখ মার্জের আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে দুপুর ২টায় যোগ দেবেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। পরে ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স আলাদাভাবে ইউরোপীয় নেতাদের সঙ্গে আরেকটি বৈঠক করবেন। এরপর যুদ্ধবিরতিতে ইউক্রেনকে সহায়তার পরিকল্পনা করা ‘কোয়ালিশন অফ দ্য উইলিং’-এর বৈঠক হবে।

 

গ্যালাপের এক জরিপে দেখা গেছে, ৬৯ শতাংশ ইউক্রেনীয় দ্রুত আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধের সমাপ্তি চান, তবে তাদের অধিকাংশই বড় ধরনের ছাড় দিয়ে শান্তি চান না। 

জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ডনবাস অঞ্চল থেকে সেনা সরিয়ে নেওয়ার শর্ত তারা মেনে নিতে পারবেন না, কারণ এতে ইউক্রেন তার গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা ভেঙে ফেলবে এবং রাশিয়ার জন্য নতুন হামলার পথ খুলে দেবে।

এদিকে রুশ বাহিনী পূর্ব ইউক্রেনের পোকরোভস্ক ও কোস্তিয়ানতিনিভকা শহরে চাপ বাড়াচ্ছে, যা যুদ্ধক্ষেত্রে কিয়েভের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। 

এই বিভাগের আরও খবর