img

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ইউন সুক-ইওলের স্ত্রী কিম কেওন‑হি বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন প্রাক্তন ফার্স্ট লেডি হিসেবে গণমাধ্যম ও সাধারণ মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। দুর্নীতি, স্টক কারসাজি ও রাজনৈতিক তদারকিতে তার ভূমিকা নিয়ে তিনি তদন্তের মুখোমুখি।

৫২ বছর বয়সী কিম সিউলের বিশেষ প্রসিকিউটর মিন জুং‑কির অফিসে পৌঁছলে তিনি সাংবাদিক ও ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে জানালেন, যদিও বিষয়টি যথেষ্ট তুচ্ছ, জনসাধারণের উদ্বেগের জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি। তিনি আরো বলেন, ‘আমি তদন্তে পুরো সহযোগিতা করব এবং আবার বেরিয়ে আসব।’

 

দক্ষিণ কোরিয়ায় একজন প্রাক্তন ফার্স্ট লেডিকে এমনভাবে জনসমক্ষে তলব করা নজিরবিহীন প্রক্রিয়া। অভিযোগের গাম্ভীর্য ও জনআন্দোলনের কারণে বিশেষ প্রসিকিউটরদের এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয় বলে বিশ্লেষকদের মত। তদন্তে কিমের বিরুদ্ধে ১৬টি অভিযোগ রয়েছে, তবে তিনটি বিষয়েই তিনি মূলত জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হন: ইউনিফিকেশন চার্চ থেকে বিলাসবহুল উপহার গ্রহণ, নির্বাচনী মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় অসমর্থ বা অনৈতিক হস্তক্ষেপ, ২০০৯–২০১২ সালে ডয়চে মোটরসের স্টক কারসাজিতে জড়িত থাকার অভিযোগ।

তার আইনজীবীরা বলেছেন, কিম তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করবেন এবং অভিযোগগুলো মিথ্যা বা গৌণ বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন না।

 

কিম এবং তার স্বামীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগগুলো একটি দীর্ঘ কেলেঙ্কারির অংশ। যার ফলে রাষ্ট্রপতির দম্পতি এপ্রিল ২০২৫ এ পদ থেকে অপসারণ করা হয়। বারবার অভিযোগ উঠেছে, নানা বছর ধরে তারা তদন্ত থেকে নিজেরা নিজেকে দূরে রেখেছেন।

সূত্র : সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ