img

ভারতের আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের চারটি জায়গাকে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের (ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ) স্বীকৃতির জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির মুখ্যসচিব চন্দ্রভূষণ কুমার। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা মঙ্গলবার এ খবর জানিয়েছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, এই চারটি জায়গার মধ্যে রয়েছে ভারতের একমাত্র জীবন্ত আগ্নেয়গিরি ব্যারেন দ্বীপ।

 

এ ছাড়া নরকোন্ডম দ্বীপও রয়েছে। বিরল নরকোন্ডম হর্নবিল পাখির জন্য এই দ্বীপটি অধিক পরিচিত। বরাটাঙের কাদা আগ্নেয়গিরি (মাড ভলক্যানো) ও শহিদ দ্বীপের প্রাকৃতিক সেতুকেও ইউনেসকোর স্বীকৃত জায়গার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে চায় আন্দামান ও নিকোবর প্রশাসন।

 

সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে চন্দ্রভূষণ জানান, সেই লক্ষ্যে ইতিমধ্যে ভারতের প্রত্নতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জিএসআইয়ের সঙ্গে কাজ চালাচ্ছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের প্রশাসন।

 

আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের ভৌগোলিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্যই এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন তিনি।

 

আন্দামান ও নিকোবরের মুখ্য সচিব বলেন, ‘গোটা দ্বীপপুঞ্জে পর্যটনের প্রচারের জন্য আমরা বেশ কিছু নতুন উদ্যোগ নিয়েছি। এর মধ্যে কিছু ঐতিহ্যবাহী জায়গা রয়েছে, যা দ্বীপপুঞ্জের ইতিহাস ও জীববৈচিত্র্যের প্রতিফলন ঘটায়।’

বস্তুত পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন জায়গা ইতিমধ্যে ইউনেসকোর বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।

 

বিশ্ব ঐতিহ্যের এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিংয়ের টয়ট্রেন ও সুন্দরবন। তবে সুন্দরবনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও টয়ট্রেনের সঙ্গে নীলগিরি পাহাড় ও শিমলার পাহাড়ি পথের রেলও এই গৌরবের শরিক। আবহমান সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে কলকাতার দুর্গাপূজাও রয়েছে ইউনেসকোর স্বীকৃতির তালিকায়।

 

আন্দামান ও নিকোবরের মুখ্য সচিব জানান, প্রস্তাব করা জায়গাগুলোর উন্নয়ন ও পর্যটনের বিকাশের পরিকল্পনার জন্য জিএসআইয়ের সঙ্গে মিলে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন। এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতিও উন্নত হবে বলে আশাবাদী তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর