img

থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার নেতারা সোমবার একটি ‘শর্তহীন’ যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন। পাঁচ দিন ধরে চলা সংঘর্ষে অন্তত ৩৬ জন নিহত হয়েছে এবং দুই লাখের বেশি মানুষ ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।

দুই দেশের মধ্যকার এই নতুন উত্তেজনা ১৯০৭ সালে কম্বোডিয়ার ফরাসি ঔপনিবেশিক শাসনামলে আঁকা অস্পষ্ট সীমারেখাকে ঘিরে বহুদিনের বিরোধকে আবারও জাগিয়ে তুলেছে। এই বিরোধপূর্ণ সীমান্ত অঞ্চল নিয়ে ২০০৮ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত একাধিকবার রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছিল।

 

 

মালয়েশিয়ায় প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের সরকারি বাসভবনে আয়োজিত এক মধ্যস্থতাকারী বৈঠকের পর এ ঘোষণা এসেছে। বর্তমানে আসিয়ানের চেয়ার পদে রয়েছে মালয়েশিয়া। আনোয়ার ইব্রাহিম ঘোষণা দেন, ‘এই যুদ্ধবিরতিটি অবিলম্বে কার্যকর হবে—২৮ জুলাই মধ্যরাত থেকে।’

থাইল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই ও কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেত বৈঠকে আনোয়ার ইব্রাহিমের উপস্থিতিতে গ্রিনিচ মান সময় সকাল ৭টার কিছু পর সাক্ষাৎ করেন।

 

 

আনোয়ার বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রথম পদক্ষেপ। দুই নেতা তাদের অবস্থান এবং শান্তি ও নিরাপত্তা ফিরিয়ে আনার জন্য অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।’

ফুমথাম ও হুন—দুজনেই এই আলোচনা আয়োজনে সহায়তার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান। হুন মানেত আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার যে সমাধানের কথা ঘোষণা করলেন, তা আমাদের দ্বিপক্ষীয় আলোচনা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ভিত্তি স্থাপন করবে।’

 

প্রসঙ্গত, পর্যটননির্ভর দেশ দুটি সীমান্ত অঞ্চলের কিছু মন্দির ঘিরে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে এখন পর্যন্ত ৩৬ জন নিহত এবং দুই লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর