পেহেলগাম হামলার ‘মূল পরিকল্পনাকারীসহ’ নিহত ৩

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের শ্রীনগরে সোমবার সকালে এক অভিযানে তিন ‘পাকিস্তানি সন্ত্রাসী’-কে হত্যার দাবি করেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। এনডিটিভির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগামে ভয়াবহ হামলার তিন মাস পর এ অভিযান হলো। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহতদের মধ্যে দুজন পেহেলগাম হামলার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি নিশ্চিত করেছে, লস্কর-ই-তৈয়বার সদস্য সুলেমান শাহকে ২২ এপ্রিলের ওই সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে তিনিও রয়েছেন। সেনাবাহিনী, সিআরপিএফ ও জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের মহাদেব নামের এ যৌথ অভিযানে আবু হামজা ও ইয়াসির নামে আরো দুই সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। ইয়াসিরও পেহেলগামের হামলাকারীদের মধ্যে ছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এনডিটিভি বলছে, হাশিম মুসা নামেও পরিচিত সুলেমান পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত ছিলেন। পেহেলগামের বৈসরান উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলার পর জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ তার সম্পর্কে তথ্য প্রদানকারীকে ২০ লাখ রূপি পুরস্কার ঘোষণা করেছিল।
এর আগে ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কর্পসের অফিশিয়াল এক্স অ্যাকাউন্টে বলা হয়েছিল, ‘নিরাপত্তা বাহিনী লিদওয়াসে অপারেশন মহাদেব শুরু করেছে। তীব্র বন্দুকযুদ্ধে তিনজন সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে।
অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’ পরবর্তীতে সেনাবাহিনী জানায়, ‘অভিযান এখনো শেষ হয়নি।’
প্রতিবেদন থেকে আরো জানা গেছে, এ তিন সন্ত্রাসীই ‘হাই-ভ্যালু’ লক্ষ্যবস্তু ও বিদেশি নাগরিক ছিলেন। নিরাপত্তা বাহিনী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কার্যক্রম চালায় ও হারওয়ানের মুলনার এলাকায় অভিযান শুরু করে। এলাকায় আরো শক্তিশালী বাহিনী পাঠানো হয়েছে ও একটি চিরুনি অভিযান চলছে।
অপারেশন মহাদেবে যে সন্ত্রাসীদের আস্তানা লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল তার একটি ছবি পাওয়ার দাবিও করেছে এনডিটিভি। এতে দেখা গেছে, বনের গভীরে অবস্থিত গোপন আস্তানায় একাধিক বন্দুক রয়েছে। এনকাউন্টারের সময় কার্বাইন ও একে-৪৭ রাইফেল, ১৭টি রাইফেল গ্রেনেড এবং অন্যান্য অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী সন্দেহ করছে, সন্ত্রাসীরা জম্মু ও কাশ্মীরে বড় ধরনের কোনো হামলার পরিকল্পনা করছিল।