img

গ্রিসজুড়ে ভয়াবহ দাবানলে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজধানী এথেন্সসহ বিভিন্ন অঞ্চল। দেশজুড়ে অন্তত পাঁচটি বড় দাবানলের খবর পাওয়া গেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে উদ্বেগজনক অবস্থা রাজধানী থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার উত্তরে আফিডনেস অঞ্চলে।

গত শনিবার (২৬ জুলাই) শুরু হওয়া আগুন দ্রুত ড্রোসোপিগি, ক্রিয়োনেরি ও আগিওস স্টেফানোস এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে বহু বাসিন্দাকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাতাসে পোড়া কাঠের গন্ধ ছড়িয়ে পড়েছে মধ্য এথেন্স পর্যন্ত।

 

সরকার জানিয়েছে, চলমান দাবানলের কারণে ইতোমধ্যেই বনাঞ্চল পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে, বহু সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে এবং আহত হয়েছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা। তীব্র তাপদাহ ও দমকা হাওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।

 

আজ রবিবারের (২৭ জুলাই) মধ্যে তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন অবস্থায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাগরিক সুরক্ষা ব্যবস্থার সহায়তায় ছয়টি অতিরিক্ত অগ্নিনির্বাপক বিমান চেয়েছে গ্রিস।

 

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ২০০ জন কর্মী, ৮৪টি ফায়ার ট্রাক, ৩০টি গাড়ি এবং অন্তত ৭টি বিমান দাবানল নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এখন পর্যন্ত ছয়জন অগ্নিনির্বাপক কর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শুধু এথেন্সের উত্তরে আফিডনেসে শুরু হওয়া আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে ড্রোসোপিগি, ক্রিয়োনেরি ও আগিওস স্টেফানোস এলাকায়। যেখান থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

 

গ্রিস সরকারের ১১২ সতর্কতা ব্যবস্থার মাধ্যমে কয়েকটি এলাকায় জরুরি বার্তা পাঠানো হয়েছে। ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে অ্যাটিকা, থ্রেস, ম্যাসেডোনিয়া, পেলোপোনিজ, এজিয়ান দ্বীপপুঞ্জ এবং ক্রিট। গত মাসে চিওস দ্বীপে দাবানলে পুড়ে যায় প্রায় ৪,৭০০ হেক্টর বনভূমি। এছাড়া, জুলাইয়ের শুরুতে ক্রিটে আগুন লাগার ঘটনায় ৫,০০০ পর্যটককে নিরাপদে সরিয়ে নিতে হয়েছিল। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।

 

সূত্র : বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর