img

কম্বোডিয়া থাইল্যান্ডের বিরুদ্ধে কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় নিষিদ্ধ গুচ্ছবোমা ব্যবহারের অভিযোগ করেছে। নমপেন শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘থাইল্যান্ড আবারও ২০১১ সালে প্রিয়াহ ভিহার মন্দিরের কাছে সশস্ত্র সংঘাতের সময় ব্যবহৃত নৃশংস কৌশল অবলম্বন করছে, তখন তারা গুচ্ছবোমা ব্যবহার করেছিল। এর ফলে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি এবং দূষণের সৃষ্টি হয়েছিল।’

থাইল্যান্ড ২০১১ সালে ক্লাস্টার বোমা ব্যবহারের কথা স্বীকার করেছিল, কিন্তু এই সুনির্দিষ্ট অভিযোগের কোনো জবাব দেয়নি।

 

বেসামরিক জনগণের ওপর নির্বিচারে প্রভাব ফেলার কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশেই ক্লাস্টার বোমা নিষিদ্ধ।

 

এদিকে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘর্ষ দ্বিতীয় দিনে গড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত যা জানা গেছে, তা উদ্বেগজনক আকার ধারণ করছে। থাইল্যান্ডের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিতর্কিত সীমান্ত এলাকার অন্তত ১২টি স্থানে সংঘর্ষ হয়েছে।

 

দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েচায়াচাই উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, ‘এই সংঘাত যুদ্ধের দিকে গড়াতে পারে।’

 

গত বৃহস্পতিবার থেকে থাইল্যান্ডে অন্তত ১৫ জন নিহত হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন ছাড়া বাকি সবাই সাধারণ নাগরিক। কাম্বোডিয়া এখনো জাতীয় পর্যায়ে নিহতের সংখ্যা প্রকাশ করেনি, তবে ওদ্দার মিনচে প্রদেশের কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে অন্তত একজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।

সংঘর্ষের কারণে থাইল্যান্ডে এক লাখেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

 

সীমান্তবর্তী বেশ কয়েকটি প্রদেশ থেকে এসব মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। অপরদিকে, কাম্বোডিয়ার ওদ্দার মিনচে প্রদেশ থেকে ১ হাজার ৫০০ পরিবারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই সংঘর্ষ নিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একটি বৈঠকে বসতে পারে বলে জানা গেছে।

 

থাইল্যান্ডের সুরিন প্রদেশে একটি স্পোর্টস কমপ্লেক্সকে আশ্রয়কেন্দ্র বানানো হয়েছে। সেখানকার আশ্রয় নেওয়া মানুষরা জানিয়েছে,  বৃহস্পতিবারের রকেট এবং কামানের আক্রমণে তারা এখনো কাঁপছেন।

 


ফানম ডং রাক জেলার জোই ফাসুওয়ান বলেন, গুলিবর্ষণ শুরু হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং উদ্ধারকারী ট্রাকগুলো দিয়ে দ্রুত ভরে যায়।

 

৬৩ বছর বয়সী এই নারী জোই বলেন, অতীতের তুলনায় এবার তারা আরো দূরে সরে গেছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতির অবনতি না হলে তিনি বাচ্চাদের তাদের বাবা-মায়ের কাছে ব্যাংককে পাঠানোর পরিকল্পনা করছেন। ৬৩ বছর বয়সী নুয়ানস্রি সোরচোক বলেন, সীমান্ত সংঘর্ষের সঙ্গে এটি তার তৃতীয় অভিজ্ঞতা। প্রথমটি ছিল যখন তার বয়স ১৯ বছর। সেই সময় তিনি কেবল একটি কাস্তে নিয়ে যুদ্ধে যোগ দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়টি ছিল ২০১১ সালে। তখন তাকে পালিয়ে যেতে হয়েছিল, ঠিক যেমনটি তিনি এবার করেছেন। তবে তার স্বামী সেখান থেকে সরে যেতে পারেননি এবং উভয় পক্ষের মধ্যে গুলি বিনিময়ের কারণে তাকে একটি বাংকরে লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল।

সূত্র : বিবিসি

এই বিভাগের আরও খবর