img

ঘরের মাঠে সব দলই ভয়ংকর। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশও ব্যতিক্রম নয়। ঘরের মাঠের কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে ভারত, দক্ষিণ আফ্রিকা, অস্ট্রেলিয়ার মতো দলকে হরিয়েছে। বাদ যায়নি পাকিস্তানও।

২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরে আসলে একমাত্র টি-টোয়েন্টি ও তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে পাকিস্তানকে ধবলধোলাই করে বাংলাদেশ।

 

তাই স্বাগতিক হওয়ায় বাংলাদেশকে সমীহ করতেই হচ্ছে পাকিস্তানকে। সঙ্গে  তিন দিন আগেই শ্রীলঙ্কায় দারুণভাবে ঘুঁরে দাঁড়িয়ে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ। আগামীকাল তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে তাই সমীহই করছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা।

 

সমীহ করলেও তিন ম্যাচই জিততে চান তিনি।

 

আজ ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন সালমান। তিনি বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য অ্যাওয়ে কন্ডিশন। যেকোনো মাঠ, যেকোনো ভেন্যু এবং যেকোনো দেশেই বাংলাদেশ ভালো দল।

 

বিশেষ করে ঘরের মাঠে খেলা হলে তো খুবই ভালো দল। আমরা জানি কী কী চ্যালেঞ্জ সামনে আসতে পারে। মাঠে নামতে আমরা এক্সাইটেড এবং চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছি।’

 

শ্রীলঙ্কায় সিরিজ জিতলেও সর্বশেষ ৯ বছরের পরিসংখ্যানে পাকিস্তানকে একবার টি-টোয়েন্টিতে হারাতে পারেনি বাংলাদেশ। পাকিস্তানের জন্য আত্মবিশ্বাসের বটে।

 

তবে সালমান অতীত নিয়ে না ভেবে বর্তমানে মনোযোগ রাখছেন। পাকিস্তানের অধিনায়ক বলেছেন, ‘অতীত নিয়ে এত ভাবছি না, ভাবছি না ৯ বছর কী হয়েছে। আমরা নিজেদের খেলায় মনোযোগ রাখছি। এই সিরিজও ব্যতিক্রম নয়। প্রতিটি ম্যাচ, প্রতিটি বল ধরে ধরে এগোতে চাই। যদি তিনটি ম্যাচই জিততে পারি খুব খুশি হবো।’

 

ট্রফি হাতে দুই দলের অধিনায়ক লিটন ও সালমান। ছবি : কালের কণ্ঠ, মিরপুর থেকে

সম্প্রতি খেলার ধরণে পরিবর্তন এনেছে পাকিস্তান। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে পছন্দ করছে তারা। এ জন্য দেখা গেছে দুই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানকেও দলের বাইরে রেখেছে তারা। তবে মিরপুরে কন্ডিশন অনুযায়ী খেলতে চায়। তিনি বলেছেন, ‘আমরা খেলার ধরন বদলেছি। এভাবেই আমরা খেলতে চাই। তবে কন্ডিশন গুরুত্বপূর্ণ। আমরা দেখব কন্ডিশন কেমন আর আমরা কীভাবে খেলতে চাই। যদি কন্ডিশন তেমন হয় (আক্রমণাত্মক), তাহলে আমরা খেলব। যদি কন্ডিশন তেমন না হয়, তাহলে আমরা ওই অনুযায়ীই খেলব। আমাদের লক্ষ্য গড়ের চেয়ে ১০–১৫ রান বেশি করা। আর যখন আমরা বল করব, তখন প্রতিপক্ষকে গড়ের চেয়ে কমে আটকানো।’

কন্ডিশন বুঝতে বিপিএলে খেলা পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা সহায়তা করবে বলে জানান সালমান। তিনি বলেছেন, ‘এটা আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। অধিকাংশ খেলোয়াড়ই বিপিএল খেলেছে। তাদের ইনপুট ও অভিজ্ঞতা নেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা ইনপুট দিয়েছে, ওই অনুযায়ী আমরা পরিকল্পনাও সাজিয়েছি।’ 

এই বিভাগের আরও খবর