img

হিন্দু ধর্ম ও ভারতের আধ্যাত্মিক রীতিনীতির প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ভারতে এসে দুই সন্তানসহ কর্ণাটকের গোকর্ণের রামতীর্থ পাহাড়ের একটি গুহায় বসবাস করছিলেন এক রুশ নারী। গত শনিবার (১২ জুলাই) তাদের উদ্ধার করা হয়। ‘আত্মিক প্রশান্তি ও ধ্যানের’ জন্য তিনি ওই গুহায় ছিলেন বলে জানান। খবর হিন্দুস্তান টাইমসের।

 

পুলিশ সূত্রে খবর, রুশ ওই নারীর নাম নিনা কুতিনা ওরফে মোহি। তার বয়স ৪০ বছর। দুই মেয়ে প্রেমা (৬ বছর ৭ মাস) এবং আমা (৪ বছর)-সহ ওই গুহার ভেতরে বসবাস করছিলেন তিনি। ব্যাবসায়িক ভিসায় তিনি রাশিয়া থেকে ভারতে এসেছিলেন।

 

এরপর গোয়া হয়ে কর্ণাটকের গোকর্ণ শহরে বসবাস শুরু করেন। এ সময় হিন্দু ধর্ম ও ভারতের আধ্যাত্মিক রীতিনীতির প্রতি আকৃষ্ট হন নিনা। 

 

জানা গেছে, গুহার ভেতর ছিল শিবমূর্তি, হিন্দু দেব-দেবীর ছবি ও রাশিয়ান ধর্মীয় গ্রন্থ। নিনা প্রথমে গুহা ছাড়তে চাননি।

 

কিন্তু ধস ও স্বাস্থ্যঝুঁকির আশঙ্কায় শেষমেশ বেরিয়ে আসেন। 

 

পুলিশ জানায়, নিনা তার সন্তানদের ছবি আঁকা, গান, যোগব্যায়াম ও জপ শেখাচ্ছিলেন। তারা খাদ্য মজুদ করতেন এবং শহরে ফোন চার্জ দিয়ে ফিরে আসতেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের রাশিয়ায় ফেরত পাঠানো হবে।

এদিকে সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে ওই রুশ নারী জানিয়েছেন, প্রকৃতিকে ভালোবেসে তিনি বছরের পর বছর ধরে প্রায় ২০টি দেশের জঙ্গলে বসবাস করেছেন।

 

গুহার ভেতরে থাকাকালীন তার বা তার সন্তানদের জীবনের কোনো বিপদ ছিল না। 

 

নিনা বলেন, প্রকৃতির মধ্যে থাকার আমাদের অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আমি আমার সন্তানদের জঙ্গলে মরতে আনিনি...তারা খুব আনন্দে ছিল।

গুহায় দুই মেয়ের সঙ্গে কিভাবে থাকতেন সে সম্পর্কে নিনা বলেন, আমরা জলপ্রপাতের পানিতে সাঁতার কাটতাম, আমার সন্তানরা ক্ষুধায় মারা যাচ্ছিল না। 

তবে ওই রুশ নারী অস্বীকার করেছেন যে তার ভিসার মেয়াদ ২০১৭ সালেই শেষ হয়ে গেছে। তিনি জানান, তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে, তবে খুব বেশি দিন আগে নয়। তার কথায়, ‘আমাদের বৈধ ভিসা নেই ঠিকই। কিন্তু ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে কিছুদিন আগেই এবং ২০১৭ সালের পরে আমরা চারটি দেশ ভ্রমণ করেছি এবং তারপর ফিরেও এসেছি।’

 

প্রসঙ্গত, রামতীর্থ পাহাড়ের যেখানে গুহাটি অবস্থিত, ২০২৪ সালের জুলাই মাসে সেখানে একটি বড় ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছিল। এ ছাড়া এই জায়গাটি বিষাক্ত সাপসহ বিপজ্জনক বন্য প্রাণীদের আবাসস্থল।

এই বিভাগের আরও খবর