img

চীনের সামরিক কার্যকলাপ এবং দুর্লভ খনিজ রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে জাপান। মালয়েশিয়ায় অনুষ্ঠিত একটি আঞ্চলিক সম্মেলনের ফাঁকে চীনের চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র সঙ্গে বৈঠকে এই উদ্বেগের কথা জানান জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাকেশি ইওয়াইয়া।

বৃহস্পতিবার কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠিত আসিয়ান সম্পর্কিত বিভিন্ন বৈঠকের পাশাপাশি দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে এই আলোচনা হয়। জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতে, চীনা সামরিক বাহিনীর বিপজ্জনক হস্তক্ষেপ ও দুর্লভ খনিজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা নিয়ে এ সময় আলোচনা হয়।

 

জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকের ঠিক আগে জানায়, পূর্ব চীন সাগরে জাপানের বিমানবাহিনীর নজরদারি বিমানের খুব কাছ দিয়ে চীনের দুইটি যুদ্ধবিমান অস্বাভাবিকভাবে উড়ে যায়, যা দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করে।

বৈঠকে ইওয়াইয়া চীনকে কড়া ভাষায় জানিয়ে দেন, পূর্ব চীন সাগরে চীনের কোস্ট গার্ডের হেলিকপ্টারের আকাশসীমা লঙ্ঘন এবং পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে চীনের দুই বিমানবাহী রণতরীর সক্রিয়তা নিয়ে জাপান গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

তিনি আরো বলেন, পূর্ব ও দক্ষিণ চীন সাগরে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির পাশাপাশি তাইওয়ান প্রণালীর শান্তি ও স্থিতিশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাইওয়ানের আশেপাশে বড় ধরনের সামরিক মহড়া এই স্থিতিশীলতার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ, যা স্পষ্টভাবে চীনের প্রতি সমালোচনার ইঙ্গিত বহন করে।

 

দুর্লভ খনিজ এবং চুম্বকের রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইওয়াইয়া ওয়াংকে দ্রুত রপ্তানি অনুমোদনের প্রক্রিয়া শেষ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই নিষেধাজ্ঞা জাপানি কম্পানিগুলোর ওপর চরম প্রভাব ফেলছে।

জাপান জানায়, চীনা বিধিনিষেধের ফলে মার্কিন শুল্ক নীতির জবাবে রপ্তানি হ্রাস পেয়েছে এবং বিগত পাঁচ বছরে এটি সবচেয়ে নিচে নেমেছে।

 

জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ওয়াং ই আশ্বস্ত করেছেন যে, প্রযোজ্য নিয়ম মেনে এবং প্রয়োজনীয় প্রক্রিয়া অনুসরণ করলে জাপানি কম্পানিগুলোর স্বাভাবিক চাহিদা অনুযায়ী চীন দুর্লভ খনিজ সরবরাহ করতে পারবে।

এই বিভাগের আরও খবর