১৯ দেশের সেনাসহ অস্ট্রেলিয়ায় সর্ববৃহৎ মহড়া, নজরে চীনা গোয়েন্দা জাহাজ

অস্ট্রেলিয়ায় শুরু হয়েছে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া ‘এক্সারসাইজ টালিসমান স্যাবার’। তিন সপ্তাহব্যাপী এই মহড়ায় অংশ নিচ্ছে ১৯টি দেশের ৩৫ হাজারেরও বেশি সামরিক সদস্য। ২০০৫ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার যৌথ উদ্যোগে শুরু হওয়া এই মহড়া প্রতিবছরই অনুষ্ঠিত হয়।
এবারের মহড়ায় অংশ নিচ্ছে কানাডা, ফিজি, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, নরওয়ে, পাপুয়া নিউগিনি, ফিলিপাইন, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, টোঙ্গা এবং যুক্তরাজ্যের সামরিক বাহিনী।
পর্যবেক্ষক হিসেবে অংশ নিচ্ছে মালয়েশিয়া ও ভিয়েতনাম।
এই প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ার বাইরেও, প্রতিবেশী দেশ পাপুয়া নিউগিনিতে মহড়ার কার্যক্রম পরিচালিত হবে বলে জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বিভাগ। অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পমন্ত্রী প্যাট কনরয় জানিয়েছেন, অতীতের মতো এবারও চীনা গোয়েন্দা জাহাজ মহড়ার ওপর নজরদারি চালাতে পারে। ২০১৭ সাল থেকে চীনা সেনাবাহিনী এই মহড়ার ওপর নজর রাখছে।
কনরয় বলেন, ‘তারা (চীন) যদি নজর না রাখে, সেটাই হবে অস্বাভাবিক। আমরা আমাদের কার্যক্রম সেই অনুযায়ী সামঞ্জস্য করব।’ তিনি জানান, রবিবার পর্যন্ত চীনা জাহাজের সরাসরি অনুসরণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি, তবে সতর্কতা হিসেবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।
মহড়ার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয় রবিবার সিডনিতে, যেখানে উপস্থিত ছিলেন ইউএস আর্মি প্যাসিফিকের ডেপুটি কমান্ডিং জেনারেল লেফটেন্যান্ট জেনারেল জে.বি. ভাওয়েল এবং অস্ট্রেলিয়ার চিফ অব জয়েন্ট অপারেশনস ভাইস অ্যাডমিরাল জাস্টিন জোন্স।
মহড়ার উদ্বোধনের আগের দিনই অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি অ্যালবানিজ চীন সফরে যান। তিনি বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার চতুর্থ মুখোমুখি বৈঠক করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তবে অ্যালবানিজ জানিয়েছেন, চীনের নজরদারি এই সফরে আলোচনার বিষয় নয়। তিনি বলেন, ‘এটি নতুন কিছু নয়। আগে যা ঘটেছে, সেটিই আবার ঘটছে।
আমি সবসময় অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করব।’
এ ছাড়া তিনি যুক্তরাষ্ট্র সফরের তুলনায় চীন সফরের সংখ্যা কম হওয়ায় সমালোচনার মুখেও পড়েছেন। অ্যালবানিজ বলেন, ‘আমি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে তিনবার ফোনে কথা বলেছি। সামনে তার সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনার অপেক্ষায় আছি।’
সূত্র : এপি