ইতালি ক্রিকেট দলে খেলার কথা ভেবেছিলেন সাবেক ফুটবল তারকা

বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে খ্যাত ক্রিশ্চিয়ান ভিয়েরি। ১৯৯৮ ও ২০০২ বিশ্বকাপে ইতালির হয়ে ৯ গোল করা এই কিংবদন্তি খেলোয়াড়ের পরিচিতি মূলত ফুটবলের মাঠে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য। তবে জানেন কি, ছোটবেলায় ফুটবলের পাশাপাশি ক্রিকেটের প্রতিও ছিল তার দারুণ ঝোঁক!
বাস্তবে তিনি নামকরা ফুটবলার হলেও বিকল্প বাস্তবতায়, হয়তো ভিয়েরি ইতিহাসের অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার না হয়ে হতে পারতেন অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের টেস্ট ক্রিকেটার। হয়তো তখন স্টিভ ওয়াহ, অ্যাডাম গিলক্রিস্ট কিংবা শেন ওয়ার্নদের সঙ্গে মাঠে দেখা যেত তাকে।
কারণ, ইতালিতে জন্ম হলেও ভিয়েরি বড় হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায়। ছোটবেলা থেকেই ফুটবলের পাশাপাশি তিনি ভালোবেসে ফেলেন ক্রিকেটকেও। তবে ১৯৮৮ সালে মাত্র ১৫ বছর বয়সে যখন তিনি ইতালিতে ফেরেন, তখনই ফুটবলার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ার পথে পা বাড়ান।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভিয়েরি জানান, অস্ট্রেলিয়ায় বড় হওয়ায় ক্রিকেট ছিল তার অন্যতম প্রিয় খেলা।
এমনকি তার পছন্দের খেলোয়াড়দের তালিকায় রয়েছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ভিভ রিচার্ডস ও ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম।
ভিয়েরি বলেন, ‘আমি ছোটবেলায় বন্ধুদের সঙ্গে সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে গিয়ে টেস্ট ম্যাচ দেখতাম। তখন অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ ম্যাচে যারা খেলত, তাদের প্রায় সবাইকে আমি চিনতাম—ক্লাইভ লয়েড, ডেসমন্ড হেইন্স, গর্ডন গ্রিনিজ, ম্যালকম মার্শাল, জোয়েল গার্নার এবং মাইকেল হোল্ডিং। আমার প্রিয় ছিলেন ভিভ রিচার্ডস, আর ইংল্যান্ড থেকে ইয়ান বোথাম।’
‘অস্ট্রেলিয়া দলে আমি অ্যালান বর্ডারকে পছন্দ করতাম। এখনো ক্রিকেটের প্রতি আমার গভীর আগ্রহ আছে। করোনার সময় আমি ভাবছিলাম ইতালির জাতীয় ক্রিকেট দলে অনুশীলন করার কথা। মিলানের বাইরে তাদের একটা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র আছে, কিন্তু আমি কখনো গ্রীষ্মে ইতালিতে থাকি না, তাই হয়ে ওঠেনি।’
ছোটবেলায় ফুটবল, ক্রিকেট ও টেনিস—তিনটি খেলাতেই দারুণ আগ্রহ ছিল ভিয়েরির।
তিনি বলেন, ‘তিনটি খেলাই ভালোবাসতাম। ভাবতাম তিনটিতেই পেশাদার হতে পারব। শেষ পর্যন্ত ফুটবলকে বেছে নিয়েছিলাম, কারণ সেটা একটু বেশি ভালো লাগত।’
এই ভিয়েরিই পরে হয়েছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় (১৯৯৯ সালে), খেলেছেন লাৎজিও, ইন্টার মিলান, অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের মতো বড় ক্লাবে। জাতীয় দলের হয়ে করেছেন ২৩ গোল, যার মধ্যে রয়েছে দুটি বিশ্বকাপে ৯ গোল।