মায়ানমারে তুমুল সংঘর্ষ, হাজার হাজার শরণার্থী ভারতের মিজোরামে পালিয়ে গেছে

মায়ানমার দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে তীব্র সংঘর্ষের কারণে প্রতিবেশী ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মিজোরামে পালিয়ে এসেছে হাজার হাজার শরণার্থী। সোমবার (৭ জুলাই) ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
ভারতীয় এক ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, গত ২ জুলাই মায়ানমারর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় চীন প্রদেশে কৌশলগত এলাকাগুলোর দখল নিয়ে চীন ন্যাশনাল ডিফেন্স ফোর্স (সিএনডিএফ) এবং চিনল্যান্ড ডিফেন্স ফোর্স-হুয়ালঙ্গোরাম (সিডিএফ-এইচ)-এর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। এর পর থেকেই প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মিজোরামে প্রবেশ করছে।
তিনি জানান, সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় চার হাজার শরণার্থী মিজোরামে প্রবেশ করেছে। যদিও গণমাধ্যমে কথা বলার অনুমতি না থাকায় ওই কর্মকর্তা নিজের নাম প্রকাশ করতে চাননি।
মিজোরাম রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কে সাপদাঙ্গা নতুন করে শরণার্থী প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে তার ভাষ্য অনুযায়ী, শরণার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার।
সাপদাঙ্গা রয়টার্সকে বলেন, ‘এই লড়াই আমাদের নিয়ন্ত্রণের বাইরে। মানবিক কারণে আমরা পানি, খাবার এবং আশ্রয় দিচ্ছি।’ রবিবার (৬ জুলাই) রাত পর্যন্ত মিজোরামের চাম্পাই জেলার দুটি গ্রাম—জোখাওথার ও সাইকুমফাই—তে ৩ হাজার ৯৮০ শরণার্থীর উপস্থিতি নথিভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান নিরাপত্তা কর্মকর্তা।
তিনি আরো বলেন, ‘এটি একটি অস্থায়ী সংখ্যা, সময়ের সঙ্গে পরিবর্তিত হচ্ছে।
শুরুতে খুব কম লোকজন এসেছিল, কিন্তু পরে সংঘর্ষ সীমান্তের আরো কাছে চলে এলে মানুষ পালিয়ে আসতে শুরু করে।’
মিজোরাম রাজ্যটি মায়ানমার চীন-অধ্যুষিত এলাকার সঙ্গে সীমান্ত শেয়ার করে এবং মিজো জনগণ জাতিগতভাবে চীন জনগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্কিত। ২০২১ সালে মায়ানমার সামরিক অভ্যুত্থানের পর থেকেই এই রাজ্য বহু শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়ে আসছে। এ বিষয়ে মায়ানমার জান্তা সরকারের কোনো মুখপাত্র রয়টার্সের ফোনকলের জবাব দেননি।
সূত্র : রয়টার্স