img

কলকাতার বাংলা সিনেমার দাপুটে অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ৫৩ বছরের ঋতুপর্ণা এখনো সরব। বাহারি সব চরিত্র নিয়ে পর্দায় হাজির হচ্ছেন। তার নতুন সিনেমা ‘ম্যাডাম সেনগুপ্ত’।

 

এতে রাহুল বোসের সঙ্গে ফের জুটি বেঁধেছেন। সায়ন্তন ঘোষাল নির্মিত সিনেমাটি ৪ জুলাই প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে।

 

সিনেমাটির নাম পড়ে ধারণা হতে পারে—এটি ঋতুপর্ণার বায়োপিক; আদতে তা নয়। এটি থ্রিলার ঘরানার সিনেমা।

 

সিনেমাটিতে কার্টুনিস্ট রঞ্জনের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বলিউড অভিনেতা রাহুল বোস। অন্যদিকে অনুরেখা সেনগুপ্তর চরিত্রে অভিনয় করেছেন ঋতুপর্ণা। গল্পে রাহুল বোস ও বিবাহিত ঋতুপর্ণার বন্ধুত্বের সীমকরণ উঠে এসেছে।

 

সিনেমার গল্প বন্ধুত্ব নিয়ে।

 

ফলে ঋতুপর্ণার কাছে জানতে চাওয়া হয়, বিবাহিত নারী-পুরুষের বন্ধু হয়? জবাবে এই অভিনেত্রী বলেন, “সমাজ এখনো নারী-পুরুষের বন্ধুত্ব স্বীকার করতে চায় না।” 

 

পেশাগত জায়গার উদাহরণ টেনে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “আমাদের যে ধরনের কাজ, তাতে আমরা অনেক বেশি পুরুষের বৃত্তের মধ্যে থেকে কাজ করি। টেকনিশিয়ান, চিত্রগ্রাহকদের মধ্যে এখনো পুরুষের সংখ্যাই বেশি। আমার অনেক সম্পাদক পুরুষ বন্ধু আছে। আসলে বন্ধুত্বের কোনো লিঙ্গ হয় না।” 

 

বন্ধুত্ব নিয়ে বিশদে বলতে গিয়ে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলেন, “একজন নারীর একাধিক পুরুষ বন্ধু থাকলে অনায়াসে তাকে চরিত্রহীন বলে দেওয়া যায়। অন্যদিকে, একজন পুরুষের একাধিক নারী বন্ধু থাকলে সেই বিষয়টাকে গৌরবান্বিত করা হয়। সমাজ বদলায়নি। কোনো অভিনেত্রী অনেক সিনেমা করলে ধরেই নেওয়া হয়, পরিচালক বা প্রযোজকের সঙ্গে সেই নারীর বিশেষ সম্পর্ক আছে। প্রত্যেক নারী ও পুরুষের বন্ধুত্বেই শারীরিক সম্পর্ক থাকবে, এমনটা মনে করি না।”

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ