img

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর ছোট ছেলে অ্যাভনার নেতানিয়াহু ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার করছেন। যুক্তরাজ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে নিজের নাম পরিবর্তন করেছিলেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো। তিনি ‘অ্যাভি সেগাল’ নাম পরিচয় দিয়ে যুক্তরাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানেই একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাটও কিনেছেন বলে জানা গেছে।

প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাভনার এই নাম পরিবর্তন করেন নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে।

 

বিশেষ করে যুক্তরাজ্যের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে যাতে তাকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর ছেলে হিসেবে চেনা না যায়, সেই উদ্দেশ্যে।

 

তুর্কি টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘অ্যাভি সেগাল’ নামে তিনি যুক্তরাজ্যের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং প্রায় ৫ লাখ ২ হাজার পাউন্ড (৬ লাখ ৮৩ হাজার ডলার) মূল্যের একটি অ্যাপার্টমেন্ট নগদ অর্থে কিনে নেন। অজ্ঞাত সূত্রের বরাতে জানা গেছে, অ্যাভনার নিজের পাসপোর্ট ও ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ সরকারি নথিপত্রেও নাম পরিবর্তন করেন। ‘সেগাল’ নামটি নেওয়া হয় তার পিতামহীর পরিবারের পদবি থেকে।

 

ইসরায়েলি আইনের অধীনে, কোনো বিদেশি সম্পত্তি যদি ২০ লাখ শেকেল (প্রায় ৫ লাখ ৯৮ হাজার ডলার) এর কম মূল্যে কেনা হয়, তবে তা কর কর্তৃপক্ষের কাছে ঘোষণা করা বাধ্যতামূলক নয়। মুদ্রা বিনিময় হারের কারণে অ্যাভনারের ফ্ল্যাটের দাম সেই সীমার নিচেই ছিল বলে জানা যায়।

 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে চালানো হামলার পর অ্যাভনার নেতানিয়াহু ইসরায়েলে ফিরে আসেন বলে জানিয়েছে গণমাধ্যম। তার এই বিদেশে ছদ্মনামে অবস্থান ও সম্পত্তি ক্রয়ের খবর এখন নেতানিয়াহু পরিবারের সম্পদ ও সম্পত্তি নিয়ে নতুন করে বিতর্ক উসকে দিয়েছে।

 

 

অন্যদিকে, নেতানিয়াহুর বড় ছেলে ইয়াইর নেতানিয়াহুও এখন তদন্তের আওতায় রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইসরায়েলি পুলিশের দুর্নীতি দমন ইউনিট লাহাভ ৪৩৩। অভিযোগ, তিনি যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও একটি কূটনৈতিক পাসপোর্ট গ্রহণ করেছেন। 

ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা শিন বেত জানিয়েছে, ইয়াইরের এই পাসপোর্ট পাওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত এখনও চলছে।

 

এই খবর প্রকাশের পর নেতানিয়াহু পরিবারের দেশ–বিদেশে সম্পত্তি ও বিশেষ সুবিধা পাওয়া নিয়ে নতুন করে সমালোচনা শুরু হয়েছে। স্থানীয় গণমাধ্যম জানাচ্ছে, নেতানিয়াহু পরিবার ইসরায়েল ও বিদেশে একাধিক সম্পত্তির মালিক, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে অসন্তোষ তৈরি করছে। বর্তমানে দেশের ভেতরে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে এই বিতর্ক নেতানিয়াহু পরিবারের ভাবমূর্তিতে নতুন করে আঘাত হেনেছে।

 

সূত্র : তুর্কি টুডে

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ