img

ভারতের হরিয়ানার ছেলে রণদীপ হুডা। মণিপুরের মডেল লিন লাইশরামের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ২০২৩ সালে। লিনের শহর ইম্ফলে মণিপুরি রীতি মেনেই সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন তাঁরা। সেই সময় অশান্ত মণিপুর।

তার মাঝেই সেনাবাহিনীর সহায়তায় নির্বিঘ্নে বিয়ে সেরেছিলেন লিন ও রণদীপ। 

 

যদিও বিয়ে করতে গিয়ে এক অদ্ভুত অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হয় অভিনেতাকে। একটা বাটি অভিনেতার হাতে ধরিয়ে দিয়ে মূত্র ত্যাগ করতে বলা হয় তাকে!

প্রাথমিক ভাবে এই সম্পর্কে আপত্তি ছিল অভিনেতার পরিবারের। মণিপুরের লিনকে মানতেই পারছিল না রণদীপের বাড়ির লোকজন।

বিয়েতে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছিল জাত। রণদীপ সম্প্রতি জানান, লিন জাঠ সম্প্রদায়ের মেয়ে না হওয়ার আপত্তি ছিল পরিবারের। যদিও শেষ পর্যন্ত রণদীপ মণিপুরে গিয়ে মেইতেই মতে বিয়ে সারেন।

 

বিয়েতে নজর কেড়েছিল বর-কনের সাজ।

রণবীরের পরনে সাদা ধুতি, ফতুয়া আর চাদর। মাথায় সাদা পাগড়ি, কপালে তিলক। মণিপুরের আঞ্চলিক পোশাকেই বিয়ে সারলেন বলি অভিনেতা। অভিনেতার স্ত্রীর পরনে মণিপুরের সাবেক পোশাক পটলোই। মেরুন আর সোনালি রঙের পটলোই পরেছিলেন তিনি।

মুকুট থেকে গলায় সারি সারি হার—মাথা থেকে পা পর্যন্ত যেন সোনায় মুড়ে নিয়েছিলেন লিন। 

 

কিন্তু এই বিয়ের রকম-সকম একেবারে অদ্ভুত ঠেকেছিল রণবীরের কাছে। এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা বলেন, ‘ওদের বিয়ের ধরন একেবারে আলাদা। আমাকে ওই পোশাক পরে দুই ঘণ্টা সোজা হয়ে বসে থাকার আদেশ দেওয়া হয়। নড়াচড়া করা যাবে না। হাসাও মানা। কারণ ওই দিনে নাকি আমি ভগবান! আমাকে কেউ একজন একটা বাটি ধরিয়ে দিয়ে বলেন, এখানেই মূত্রত্যাগ করতে হবে। আমাকে বলা হয়, মূত্রত্যাগ করার সময় মাথার ওপর ধরা ছাতা বন্ধ করে বাটিতে প্রস্রাব করতে হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর