বিজয়ের আরেকটা সুযোগ পাওয়া উচিত, মনে করেন সাবেক অধিনায়ক

গল টেস্টের দুই ইনিংসেই সেঞ্চুরি করে রেকর্ড বইয়ে নাম লেখান নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক যখন কিংবদন্তি ক্রিকেটারদের পাশে বসেন তখন নিজের জায়গা পাকা করার সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ব্যর্থ।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দুই ইনিংসেই ব্যর্থ হয়েছেন বিজয়। দ্বিতীয় ইনিংসে ৪ রান করতে পারলেও প্রথম ইনিংসে রানের খাতাই খুলতে পারেননি।
রান না পাওয়ার চেয়েও তার বেশি সমালোচনা হচ্ছে আউটের ধরনে। সমালোচনা হলেও উত্তরসূরির আরেকটি সুযোগ দেখছেন হাবিবুল বাশার।
কলম্বো টেস্টেও তাই সুযোগ দেখছেন হাবিবুল। সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, পারফর্ম করেই দলে এসেছে এনামুল হক বিজয়।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে বেশ ভালো রান করেছে বিজয়। সব সময় খুলনা বিভাগের টপ লিস্টেই থাকে। এ জন্যেই হয়তো তাকে টেস্টে বিবেচনা করা হয়েছে লাল বলে ঘরোয়ার ফর্মটা সে টেস্টে খুব একটা পারফরম করতে পারেনি। তাকে যেহেতু নেওয়া হয়েছে আরেকটা সুযোগ দেওয়া উচিত।’
যথার্থই বলেছেন হাবিবুল। ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত ছন্দে ছিলেন বিজয়। জাতীয় লিগে খুলনার হয়ে সর্বশেষ মৌসুমে ১৩ ইনিংসে এক সেঞ্চুরি ও ৬ ফিফটিতে করেন ৭০০ রান। অন্যদিকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে গাজীর হয়ে করেন ৮৭৪ রান। সেঞ্চুরি-হাফ সেঞ্চুরি সমান ৪টি করে।
সঙ্গে সর্বশেষ বিপিএলেও ৩৯২ রান করেন তিনি। ১২ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি ও ২টি ফিফটি হাঁকান ৩২ বছর বয়সী ব্যাটার।
এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই ৩ বছর পর টেস্টে দলে সুযোগ পান বিজয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৩৯ রান করে প্রত্যাবর্তনের ইঙ্গিতও দেন তিনি। তবে শ্রীলঙ্কায় প্রথম টেস্টে ব্যর্থ হয়েছেন। বিজয় ব্যর্থ হলেও দুই ইনিংসে ১৪ ও ৭৬ রান করে আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম জায়গাটা পাকাই করে রেখেছেন।
তবে বিজয় ওপেনার হওয়ায় তাকে কলম্বো টেস্টে সুযোগ দেওয়া উচিত জানিয়ে হাবিবুল বলেছেন, ‘শান্ত ভালো ব্যাটার, দলের প্রয়োজনে ওপেনও করতে পারে। কিন্তু আমি মনে করি ওপেনিং একটা বিশেষজ্ঞ পজিশন। এখানে একদম যারা ওপেনার তাদেরই ওপেন করা উচিত। আর যারা তিন নাম্বার, এমনকি তিন নাম্বারও কিন্তু ইজ নাম্বার থ্রি। তিন নাম্বার কিন্তু ওপেনার না। সেই ক্ষেত্রে আমার মনে হয় যেহেতু ওপেনার আমরা দুইজন নিয়েছি, তাদের উপরেই আরেকটা ম্যাচ দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।’