বুবলী না অপু কে বেশি শাকিব খানের কাছের?

কয়েকদিন আগেই অপু-বুবলীর ভার্চুয়াল লড়াই শুরু হয়েছিল। অপু বিশ্বাস ও বুবলীর সামাজিক মাধ্যমের লড়াইটা অনেকটাই প্রকাশ্যে, দুজনই মাঝেমধ্যেই শাকিব খান ও সন্তানদের নিয়ে পোস্ট দেন। তাদের যুদ্ধটা মূলত এটা নিয়েই। দুজনের পোস্ট থেকে একটা জিনিস প্রকাশিত হতে থাকে যে দুজনই শাকিবের কাছাকাছি রয়েছেন।
এই লড়াই নতুন করে ঈদের আগে শুরু হলেও ঈদের পর তা আরো বড় আকারে দেখা যায়।
অপু বিশ্বাস ও শাকিব খান মিলে শপিংয়ে গেছেন, সঙ্গে ছিল আব্রাহাম খান জয়। এমন একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে বুবলী নতুন করে জানান দেন তিনিও কম নন। ছেলে বীর ও বাবা শাকিবের সঙ্গে অনেকগুলো ছবি ফেসবুকে আপলোড দেন।
এরপর বাবা দিবস নিয়ে শুরু হয় নতুন করে টি টোয়েন্টি।
গতকাল ছিল বাবা দিবস। বিশেষ এই দিনটিকে উদযাপনে ঢালিউড নায়িকা অপু বিশ্বাস তার সন্তান ও সন্তানের বাবা শাকিব খানের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন অনুরাগীদের সঙ্গে। বরাবরের মতো এবারও অপুর পর শাকিব ও নিজের ছেলেকে নিয়ে পোস্ট করেন বুবলী।
এরপরই নেটিজেনদের আলোচনা, দুজনের একজন শাকিবকে নিয়ে স্ট্যাটাস দিলে বা কোনো মন্তব্য করলে কিছুক্ষণ পরই অপরজনও তার প্রতিক্রিয়া নিয়ে হাজির হন।
বিষয়টি অপু বুবলীর পোস্টেও মন্তব্য করে জানান অনেকে। আর এসব মন্তব্য নজর এড়ায়নি অপুর। দিনশেষে তিনি আরেকটি স্ট্যাটাস দিয়ে জানিয়েছেন, তিনি কোনো প্রতিযোগিতায় নেই। সন্তান, শাকিব খান ও বুবলী, ত্রিমুখী এই বিষয়গুলো যেন নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে উঠছে অপুর জীবনে।
তাই রবিবার (১৫ জুন) রাতে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে ভক্ত-অনুরাগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্য স্পষ্ট এক বার্তা দিয়েছেন অভিনেত্রী। যেখানে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, কোনো ধরণের অসুস্থ প্রতিযোগিতার মাঝে তিনি নেই। আপাতত নিজের কাজ ও সন্তানকে নিয়েই ব্যস্ত থাকতে চান তিনি।
তবে অপু আসলেই নিজের কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, আর বুবলীও চুপ করে থাকবেন-এমনটা কী হয়? সময় বলে দেবে। তবে দুইজনের প্রতিযোগিতা যেভাবেই চলুক না কেন, দুজন যতই কাছের প্রমাণ করার চেষ্টা করুক না কেন। শাকিব খানের সঙ্গে এই দুজনের মানসিক দুরত্ব অনেক দূরে। সূত্র বলছে, অপু বিশ্বাসকে যে কারণে শাকিব খান ছেড়েছেন, একই কারণে ছেড়েছেন বুবলীকে।
দুজনই স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে প্রকাশ্যে আসতে চেয়েছেন, কিন্তু শাকিব খান এটা চাননি। অপু বিশ্বাস টিভি লাইভে সন্তানসহ এসে জানান দিয়েছেন। ঠিক একই পথে হাঁটতে চেয়েছিলেন বুবলীও। লিডার আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্রের একটি গানের শুটিং বাকি ছিল। সেখানেই ঝামেলা বাধে। রাতভর মিটিং করে শাকিব মেনে নিতে বাধ্য হন, এবং পরেরদিন দিন শেহজাদ খান বীরকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কের কথা স্বীকার করেন। বুবলীর সঙ্গে দূরত্বের শুরু এখান থেকেই।
শাকিবের একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র বলছে, ‘এই দুজনের একজনকেও শাকিব খান পছন্দ করেন না। বরং তাদের আচরণে শাকিব বরাবরই বিরক্ত হন। এসব কর্মকাণ্ড ও ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করা বরাবরের মতো বিরক্ত।’
তাঁর মানে অপু-বুবলীর লড়াই হলেও এই দুজনের কেউই শাকিব খানের নিকটস্থ বা শাকিব এদের কাউকে নিয়েই সংসারী হতে চান না- এটা বরাবরই শাকিব খান বলেছেন। এবারও সূত্রটি এমনটাই জানালো।
এদিকে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারেও বিষয়টি আরো পরিষ্কার হয়ে যায়। কেননা শাকিবের চিন্তা ভিন্ন কোনো নারীকে বিয়ে করে থিতু হওয়া। ওই সাক্ষাৎকারে বিয়ে নিয়ে মুখ খোলেন শাকিব। সেখানে তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, শোনা যাচ্ছে আবার নাকি বিয়ে করবেন, তাও আবার সম্বন্ধ করে, পাত্রী নাকি চিকিৎসক! সত্যিই কি ফের সংসারী হবেন?
উত্তরে শাকিব বলেন, ‘মানুষ একা থাকতে পারে না। পরিবার এবং সমাজ নিয়ে বেঁচে থাকে। দেখা যাক, কোনো তাড়াহুড়ো নেই যে নির্দিষ্ট কোনো বছরের মধ্যে বিয়ে করতে হবে। যদি তেমন কিছু হয় পারিবারিকভাবে হবে এবং সেটা বিয়ের পর্যায়ে যাবে। আমার বাবা-মায়ের যেহেতু বয়স হয়েছে সন্তান হিসেবে তারা আমাকে সংসারী দেখতে চান।’