আমাদের জন্ম কিভাবে? করণ জোহরকে প্রশ্ন সন্তানদের

গতকাল ১৫ জুন তারিখটি পালন করা হয়ে বিশ্ব বাবা দিবস হিসেবে। যদিও বাবাকে ভালোবাসার জন্য নির্দিষ্ট কোন তারিখের প্রয়োজন হয় না। তবুও দিনটিতে বাবার প্রতি সন্তানদের ভালোবাসার নানা চিত্র প্রকাশ পায় বিভিন্ন মাধ্যমে।
বাবা দিবস উদযাপনে নিজের পিতৃত্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন বলিউডের স্বনামধন্য পরিচালক করণ জোহর।
যমজ সন্তান যশ ও রুহিকে নিয়ে তার অভিজ্ঞতা যেমন আবেগময়, তেমনই অনুপ্রেরণা যোগায়।
২০১৭ সালে সারোগেসির মাধ্যমে বাবা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজক করণ জোহর। সেই সময়ের সাহসী পদক্ষেপ আজ আট বছর পেরিয়ে এক উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে উঠেছে।
এক পডকাস্টে নিজের যমজ সন্তানদের নিয়ে আলাপচারিতায় অকপটে শোনালেন পিতৃত্বের গল্প।
ফ্যাশন ডিজাইনার এবং অভিনেত্রী মাসাবা গুপ্তার সঙ্গে কথোপকথনের সময় করণ জানান, এখন যশ ও রুহির আট বছর বয়স এবং তাদের মনে প্রশ্ন উঠছে— “আমাদের জন্ম কিভাবে?”
সন্তানদের সেই প্রশ্নে করণের জবাব, “এখনও পর্যন্ত আমি ওদের বলেছি, ‘তোমরা এসেছ আমার হৃদয় থেকে।’ তবে খুব শিগগিরই এই প্রসঙ্গে ওদের সঙ্গে একটা খোলামেলা আলাপ করতে হবে।”
পিতৃত্বের যাত্রা যে সহজ ছিল না, তা স্বীকার করে নিয়েছেন করণ। তবে, সেটাই তার জীবনের সবচেয়ে সেরা সিদ্ধান্ত বলে জানান তিনি।
করণের কথায়, “আমার মা হিরু জোহরের সঙ্গে যশ আর রুহিকে বড় করা আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ সিদ্ধান্ত। সবচেয়ে কঠিন, কিন্তু সবচেয়ে সুন্দর।”
যারা ভাবছেন মা নেই বলে শিশুরা ‘মায়ের ভালোবাসা’ থেকে বঞ্চিত, তাদের জন্য করণের বার্তা একেবারে স্পষ্ট—“আমার সন্তানদের কখনোই ভালোবাসার ঘাটতি হয়নি। ওদের আশেপাশে আমার মা আছেন, আছে আমার ‘ফাউন্ড ফ্যামিলি’— পুতলু (কাজল আনন্দ), শ্বেতা (বচ্চন), গৌরী (খান), ফারাহ (খান), নেহা (ধুপিয়া)— সবাই ওদের ভালোবাসায় ভরিয়ে রেখেছেন।”
সিনেমার পর্দায় সম্পর্কের জটিলতা নিয়ে যিনি খেলেন নিপুণ হাতে, বাস্তব জীবনে তার এই সোজাসাপটা, সাহসী স্বীকারোক্তি প্রমাণ করে দেয়— কথা যেমন বলা উচিত, তেমনটা বলাই করণ জোহর জানেন।
‘রকি ঔর রানি কী প্রেম কাহানি’র সাফল্যের পর এখন করণের জীবনের আসল গল্পটাই সবচেয়ে বড় প্রেরণা— একক পিতৃত্বের সাহসিকতা, দায়িত্ব আর নিঃশর্ত ভালোবাসার অনন্য নিদর্শন।