ধনকুবের সঞ্জয়ের মরদেহ আটকে আছে লন্ডনে, দেশে ফেরাতে বাধা কোথায়?

আকস্মিক হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলিউড অভিনেত্রী কারিশমা কাপুরের সাবেক স্বামী ও ভারতের অন্যতম ধনকুবের সঞ্জয় কাপুর। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, পোলো খেলার সময় হার্ট অ্যাটাক হয় সঞ্জয়ের, এরপরই মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি।
এদিকে, মৃত্যুর তিনদিন পেরিয়ে গেলেও (গতকাল পর্যন্ত) ভারতে এসে পৌঁছায়নি সঞ্জয়ের মরদেহ।
ভারতীয় গণমাধ্যম রিপোর্ট অনুসারে, লন্ডনে ময়নাতদন্তের পর দিল্লিতে আনা হবে সঞ্জয় কাপুরের মৃতদেহ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব থাকলেও সঞ্জয়ের আসল বাড়ি দিল্লিতে। আর সেই কারণেই দেশে শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে। তবে ইমিগ্রেশন আইনের জটিলতায় আটকে আছে সঞ্জয়ের মরদেহ।
জানা যাচ্ছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ছিল সঞ্জয়ের। তবে তিনি মারা গিয়েছেন ব্রিটেনে। সেই কারণেই দেশে তাঁর দেহ ফেরানো নিয়ে নানা জটিলতা দেখা গিয়েছে। তার দেহ দেশে ফেরাতে আরও বেশ কিছুটা সময় লাগবে বলেই জানা যাচ্ছে।
লন্ডনে ময়নাতদন্তের পর দিল্লিতে আনা হবে সঞ্জয় কাপুরের মরদেহ।
ভারতীয় গণমাধ্যমসূত্রে জানা যায়, মার্কিন নাগরিকত্ব থাকলেও সঞ্জয়ের আসল বাড়ি দিল্লিতেই। আর সেই প্রেক্ষিতেই দেশে শেষকৃত্যের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু যেহেতু ভারতের নাগরিকত্ব নেই, তাই সঞ্জয়ের মরদেহ দেশে আনার আগে একাধিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে যেতে হবে তার পরিবারকে। আর সেইজন্যই দেহ ফেরাতে দেরি হতে পারে বলে জানিয়েছিল তার পরিবার।
সঞ্জয়ের বাবা তথা খ্যাতনামা শিল্পপতি অশোক সচদেব আগেই জানিয়েছিলেন, আপাতত লন্ডনে ময়নাতদন্ত চলছে। সেটা শেষ হলেই একাধিক কাগজের কাজ রয়েছে। সইসাবুদ সেরে তবেই ছেলের মরদেহ দেশে আনতে পারবেন।
১২ জুন পোলো খেলতে খেলতে হঠাৎই মারা যান সঞ্জয়। পরে জানা যায় যে একটি মৌমাছি গিলে ফেলার ফলেই নাকি মৃত্যু ঘটে এ শিল্পপতির। বলিউডের একাধিক সূত্র ভারতীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, কারিশমা কাপুরও রয়েছেন প্রাক্তন স্বামীর দেহ দেশে ফেরার অপেক্ষায়। প্রাক্তন স্বামীর শেষকৃত্যে সন্তানদের নিয়ে উপস্থিত থাকবেন কাপুরকন্যা। উপস্থিত থাকার কথা কাপুর পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও।