পাকিস্তানের কোচিং থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ জানালেন কারস্টেন

গ্যারি কারস্টেন অবশেষে মুখ খুললেন পাকিস্তান দলের কোচিং থেকে সরে দাঁড়ানোর প্রকৃত কারণ নিয়ে। জানালেন, খুব দ্রুতই বুঝে গিয়েছিলেন যে, পাকিস্তানের হোয়াইট-বল দলের কোচ হিসেবে তাঁর প্রভাব খুব একটা থাকবে না—এবং সেটাই তাকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে।
২০২৪ সালের এপ্রিল মাসে কারস্টেনকে পাকিস্তানের ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের কোচ হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। একই সময়ে টেস্ট দলের কোচ হন অস্ট্রেলিয়ান জেসন গিলেসপি।
তবে মাত্র ছয় মাসের মাথায় পদত্যাগ করেন কারস্টেন। এর কিছুদিন পর অস্ট্রেলিয়ায় ওয়ানডে সিরিজ জয়ের পর গিলেসপিও দায়িত্ব ছেড়ে দেন। সম্প্রতি উইজডেন পডকাস্টে কথা বলতে গিয়ে কারস্টেন তুলে ধরেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) অভ্যন্তরীণ সমস্যার কথাও।
কারস্টেন বলেন, ‘আমি খুব তাড়াতাড়ি বুঝে গিয়েছিলাম যে, দল নির্বাচন বা গঠন নিয়ে আমার কোনো প্রভাবই থাকছে না।
যখন একজন কোচকে নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরিয়ে রাখা হয় এবং তাকে শুধু একটি দল ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় যে তুমি এখন তাদের কোচিং করাও, তখন আসলে সেই কোচের পক্ষে ইতিবাচক প্রভাব ফেলা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।’
কারস্টেন পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেন, ভবিষ্যতে তিনি আবার পাকিস্তানের কোচ হতে রাজি আছেন, তবে সেটি হতে হবে ‘সঠিক পরিবেশে এবং বাইরের হস্তক্ষেপ ছাড়া’। তিনি বলেন, ‘আমাকে যদি আগামীকাল পাকিস্তানে ফেরত যাওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়, আমি রাজি আছি। তবে সেটি শুধু খেলোয়াড়দের জন্যই যাব।
আমি চাই ক্রিকেট দল যেন ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট মানুষেরাই পরিচালনা করে। যখন বাইরের নানা আওয়াজ—যেটা অনেক সময় খুব প্রভাবশালী—দলের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ে, তখন একজন কোচ বা দলের নেতা হিসেবে কাঙ্ক্ষিত পথে হাঁটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে।’
তিনি জানান, পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের প্রতি তার ভালবাসা এখনো অটুট। তিনি বলেন, ‘আমি পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের খুবই পছন্দ করি—ওরা দারুণ মানুষ। যদিও আমি খুব অল্প সময়ই ওদের সঙ্গে কাজ করেছি, তবু ওদের জন্য খারাপ লাগে।
পৃথিবীর অন্য যেকোনো দলের তুলনায় ওদের ওপর চাপ অনেক বেশি পড়ে। হারলে ব্যাপারটা একেবারে উত্তাল হয়ে যায়।’