img

এবার এয়ার ইন্ডিয়ার তৃতীয় বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ঘটনায়, সোমবার সকালে হংকং থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার (আই-৩১৫) ফ্লাইট মাঝ আকাশে যান্ত্রিক ত্রুটির সম্মুখীন হয়ে পুনরায় হংকং বিমানবন্দরে ফিরে আসে।

জানা গেছে, হংকং থেকে উড্ডয়নের কিছু সময় পরই বিমানের ক্রুরা একটি সম্ভাব্য যান্ত্রিক সমস্যার ইঙ্গিত পান। যাত্রীদের নিরাপত্তার স্বার্থে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে বিমানটি হংকংয়েই ফিরে আসে।

 

যদিও এখনো পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এই ঘটনার বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেওয়া হয়নি।

 

এই ঘটনার মাত্র চার দিন আগে, ১২ জুন, আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণ পরই লন্ডনগামী একটি বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার ভয়াবহভাবে বিধ্বস্ত হয়। ফ্লাইটটিতে ২৪২ জন যাত্রী ও ক্রু ছিলেন। বিমানটি সরদার বল্লভভাই প্যাটেল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে দুপুর ১টা ৩৯ মিনিটে উড়াল দেয় এবং কিছুক্ষণের মধ্যেই আহমেদাবাদের একটি মেডিকেল কলেজ কমপ্লেক্সে বিধ্বস্ত হয়।

 

এই দুর্ঘটনায় বিমানের ২৪১ জন আরোহী নিহত হন, তবে একজন যাত্রী অলৌকিকভাবে বেঁচে যান। দুর্ঘটনায় ৩০ জন স্থলভাগে প্রাণ হারান, যার মধ্যে ৫ জন এমবিবিএস ছাত্র ছিলেন।

এর একদিন আগেই, রবিবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে বরোদা যাওয়ার পথে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি এয়ারবাস এ৩২১ ফ্লাইট মাঝপথে ফিরে আসে। উড্ডয়নের পর পাইলটরা লক্ষ্য করেন, বিমানের ল্যান্ডিং গিয়ার প্রত্যাশিতভাবে গুটিয়ে আসেনি।

 

সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল (এটিসি)-কে জানিয়ে জরুরি অবতরণের অনুমতি নেওয়া হয়। বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করতে সক্ষম হয়।

 

বারবার যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনায় এয়ার ইন্ডিয়ার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একের পর এক এই ধরনের ঘটনা যাত্রীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি করছে এবং সংস্থাটির বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জোরালো হচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহলেও বিষয়টি নজরে এসেছে।

 

এয়ার ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এই সকল ঘটনা নিয়ে এখনো বিস্তারিত বিবৃতি না আসায়, নানা জল্পনা ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর