আটকাদেশ বাতিল চেয়ে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে মাহরাংয়ের আপিল

বালুচ অধিকারকর্মী ও বালুচ ইয়াকজেহতি কমিটির নেতা মাহরাং বালুচ তার ও অন্য দুই নেতার আটকাদেশের বিরুদ্ধে বেলুচিস্তান হাইকোর্টে আদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে পাকিস্তানের সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেছেন।
ডনের খবরে বলা হয়, হাইকোর্ট ২২ মে তাদের আটকাদেশের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত সংবিধানিক আবেদনগুলো খারিজ করে দিয়েছিলেন। মাহরাং ও তার সংগঠনের সদস্যরা ২২ মার্চ কোয়েটার সিভিল হাসপাতালে ‘হামলা’ ও ‘সহিংসতা উসকে দেওয়া’র অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। এর আগের দিন নিখোঁজ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে তাদের প্রতিবাদে পুলিশ দমন-পীড়ন চালায়।
মাহরাংয়ের বোন প্রথমে তার মুক্তির আবেদন করেন, কিন্তু আদালত তাকে বেলুচিস্তানের স্বরাষ্ট্র দপ্তরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। পরে সংবিধানিক আবেদন দায়ের করা হলেও হাইকোর্ট তা খারিজ করে দেন। এরপর মাহরাং সুপ্রিমকোর্টে আপিল করলেন।
জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফয়সাল সিদ্দিকী ও জিবরান নাসিরের মাধ্যমে দায়ের করা এই আপিলে বলা হয়েছে, হাইকোর্টের রায় আইনগত অধিকারবহির্ভূত, অবৈধ ও বাতিলযোগ্য।
মাহরাংয়ের পক্ষে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে নেওয়া পদক্ষেপগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও তাকে নিখোঁজ ব্যক্তিদের পক্ষে কথা বলা থেকে বিরত রাখার ষড়যন্ত্র।
তার পিটিশনে জানানো হয়েছে, তার বাবা ও ভাই যথাক্রমে ২০১১ ও ২০১৭ সালে নিখোঁজ হন, যা এই ইস্যুতে তার সক্রিয়তার মূল কারণ। মাহরাং দাবি করেছেন, তার নাম সন্ত্রাসবিরোধী আইনের চতুর্থ তফসিলে থাকায় এরই মধ্যে তার চলাফেরা ও স্বাধীনতায় কঠোর বিধিনিষেধ রয়েছে; তাই তার আটক বাড়তি পীড়ন ও আইনবিরুদ্ধ।
পিটিশনে অভিযোগ করা হয়েছে, তাকে বারবার অবৈধভাবে আটক করে এবং ‘উগ্রপন্থিদের সহানুভূতিশীল’ আখ্যা দিয়ে তাকে নিখোঁজদের অধিকার নিয়ে কথা বলা থেকে থামানোর চেষ্টা চলছে।
মূল আপিলের পাশাপাশি, বর্তমান মামলার বিচারাধীন থাকাকালীন বেলুচিস্তান হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করার জন্য সুপ্রিম কোর্টে একটি পৃথক আবেদনও দাখিল করা হয়েছে।