img

দুদকের প্রতিবেশী শিল্পকলা একাডেমির, সংগীত নৃত্যকলা ও আবৃত্তি বিভাগে চলছে চরম দুর্নিতি। গত সৈরাচারের দোষর বর্তমানেও একই কায়দায় চালাচ্ছে দুর্নিতি। সংগীত বিভাগের উপ পরিচালক শামীমা জাহান এবং তার বর্তমান স্বামী অন্তুগোলন্দাজ ( গফর গায়ের কুখ্যাত গোলন্দাজ পরিবারের সন্তান) এই পরিবারের সবার নামেই বর্তমানে মার্ডার মামলা আছে। এই শামীমা, অন্তু গোলন্দাজ ওদের সাথে আছে আনিসুর রহমান সে অন্য বিভাগের হওয়া সত্বেও শুধুমাত্র নিখুত অর্থ লোপাট করতে জানার কারনে তাকে সংগীত বিভাগে তাকে রাখা হয়েছে।

একাডেমির সিনিয়র অফিসারদের বার বার অনুরোধের পরেও তাকে নিজ বিভাগে ফেরত দেয়া হচ্ছে না। লোকমুখে শুনা যায় ৫ আগষ্টের পর স্বৈরাচার দুর্নিতিবাজ লিয়াকত আলী লাকী এই আনিসের বাসায় কিছুদিন লুকিয়ে ছিল। স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সংষ্কৃতি অংগনের মধ্য দিয়েই তাদের অবস্থান গড়ার তুমুল চেষ্টা চালাচ্ছে। শামীমার নামে এখনও দুর্নিতির দায়ে চলছে বিভাগীয় মামলা। এখনএ ওরাই আওয়ামী শিল্পী কলাকুশলিদের নিয়ে চালাচ্ছে তাদের নীল নকশা। একাডেমির সকল সিনিয়র অফিসাররা এই অন্যায়ের বিরোধিতা করলেও কোন অদৃশ্য শক্তির কারনে এই শামীমা গং সকলকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নিজেদের অন্যায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছে!!  শোনা যায় সংগীত বিভাগের বর্তমান চুক্তিভিত্তিক পরিচালকও এদের সাথে দুর্নিতির সাথী হয়েছেন তার সাথে আবার সংষ্কৃতি উপদেষ্টা ফারুকী সাহাবের খুব খাতির । এই পরিচালক ( মেহজাবীন নোভা) ফারুকী সাহাবের নাম ভাঙ্গিয়ে সবাইকে ধমক দেন। খুব অল্পদিন আগের একটা দুর্নিতির বর্ননা জানাচ্ছি, প্রমান সহ।

এবারের নজরুল জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠানের বাজেট-- কোন মিউজিসিয়ান ছিল না তবুও বাজেট হয়েছে ৭৫০০০ টাকা,  ৩ টা গান রেকর্ড হয়েছে বিল হয়েছে ৫ টা গানের,  শিল্পীদের খাবার বাজেট ছিল ৫০০ টাকা জনপ্রতি একবেলা তাদের দেয়া হয়েছে ১২৫ টাকা, রেকর্ডিং ষ্টুডিও ভাড়া খুব বেশী হলে ৩/৪ বিল দেখানো হয়েছে ৭০০০ টাকা করে, ১৬ জন শিল্পী গান রেকর্ডিং করেছে কিন্তু তাদের বাইরে ৮৬ জন শিল্পী নিজেদের আত্মীয় বন্ধু আওয়ামী লোকজন দিয়ে গানের লিপসিং করিয়ে জনপ্রতি ৫০০০ টাকা করে মোট ৪,৩০,০০০ বিল বানিয়ে টাকাটা মেরে দিয়েছে। এমন হাজারো চুরি হচ্ছে প্রতিটি অনুষ্ঠানে। গত চৈত্র-সংক্রান্তির অনুষ্ঠানে ৪ টি নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের অনুষ্ঠানে একই ভাবে টাকা চুরি করেছিল। এক গ্রুপের জন্য ১,৫০,০০০ টাকা তুলে দল গুলোকে মাত্র৫০,০০০ টাকা দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে ঘটনাটি উপর মহলে জানাজানি হওয়াতে একমাস পর নৃগোষ্ঠীর শিল্পীদের ডেকে তাদের পাওনা টাকা ফেরত দেয়া হযেছে। শামীমা আওয়ামী ক্ষমতায় সরকারী জিও না নিয়েই চীন সফরে গিয়েছিল, ধরাপরার পর আওয়ামী ক্ষমতা দেখিয়েই পার পেয়ে গেছে অথছ জিও ছাড়া বিদেশে যাওয়া সরকারী চাকুরীজীবীদের জন্য গুরুদন্ড পাওয়ার মতো অপরাধ। এবার ধরা পরেছে শামীমার স্বামী তিনিও সরকারী জিও ছাড়া বিদেশ গিয়েছে। এদের বিচার এখন শিল্পকলা একাডেমির সকল কর্মকর্তা কর্মচারীদের একমাত্র দাবী। এদের আরো একজন দোষর আছেন শেখ এহসানুর রহমান,তিনি জাসদ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক ছিলেন ( জাগ বিশ্ববিদ্যালয়) গত ১৪ দলের জাসদ ইনুর লোক ছিলেন। তার নানা বেয়াদবির কারনে বিগত মহা পরিচালক তাকে ব্রাহ্মণ বাড়িয়াবদলি করে দিয়েছিলেন। তিনি কখনোই সেখানে যোগদান করেননি বরং এই আদেশের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন এবং দীর্ঘ ১০/১১ বছর পর উচ্চআদালতে অর্থৎ আপিল বিভাগে হেরে গেছে কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান না করে একাডেমির কিছু অফিসারের সহোযোগিতায় কোন নিয়ম কানুন না মেনে ৯২,০০০০০ টাকা তুলে নিয়েছেন ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে। এখনো তিনি কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করেই ঢাকা শিল্পকলায় অফিস করছেন এবং শামীমা, আনিস, গোলন্দাজ আর পরিচালক সংগীত একই সিন্ডকেট হয়ে একের পর এক অন্যায় অনিয়ম আর দুর্নিতি করেই যাচ্ছে। এই পরিবর্তিত সময়ে শিল্পকলা একাডেমিরও সকল দুর্নিতিবাজদের হাত থেকে রক্ষ পাওয়ার সময় এসেছে।

এই বিভাগের আরও খবর