রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে প্রেমের প্রস্তাব দিয়েছিলেন আমির!

পরিবারের বিপক্ষে গিয়ে খুব অল্প বয়সে রিনা দত্তকে বিয়ে করেছিলেন আমির খান। শুধু তাই নয়, রিনার মন পেতে একসময় রক্ত দিয়ে চিঠিও লিখেছিলেন আমির। তবুও টেকেনি তাদের সংসার।
দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
এই বিচ্ছেদ নাকি আমিরের জীবনে অনেকটা প্রভাব ফেলেছিল।
অভিনেতার দাবি, প্রথম বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন। রাতের পর রাত মদ্যপান করতেন। যদিও এখন অভিনেতা দাবি করেন, রিনাকে বিয়ে করাটাই নাকি একটা ভুল সিদ্ধান্ত ছিল।
১৯৮৬ সালে ১৮ এপ্রিল রিনার সঙ্গে আমিরের বিয়ে হয়। ২০০২ সালে তাঁদের বিচ্ছেদ হয়। ৫০ কোটি রুপির বিনিময়ে বিবাহবিচ্ছেদে রাজি হন দু’জন। সে সময় বলিউডের অন্যতম দামি বিবাহবিচ্ছেদ ছিল এটিই।
তবে তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা প্রকাশ্যে আসেনি। বরং আমির আজও প্রাক্তন স্ত্রী রিনাকে যথেষ্ট সম্মান দেন। রিনার তরফেও কোনও অসম্মান প্রকাশ পায়নি কখনও।
বিয়ের সময় রিনা পড়াশোনা করতেন। মূলত ধর্মীয় কারণেই প্রথমে তাঁদের বিয়েতে আপত্তি জানায় পরিবার।
পরে অবশ্য দুই পরিবারই বিষয়টি মেনে নিয়েছিল। আমিরও তার ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে শুরু করেন। প্রীতি জিনতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে চর্চা শুরু হয় একসময়। রিনার কানে সেই খবর পৌঁছালে সম্পর্কে কিছু জটিলতা তৈরি হয়। যদিও এই সমস্যা কথা বলেই মিটিয়ে নেন দম্পতি।
কিন্তু ‘লাগান’ ছবির শুটিংয়ের সময় কিরণ রাওয়ের সঙ্গে পরিচয় হয় আমিরের। কিরণ ছিলেন ওই ছবির সহকারী পরিচালক। আমিরের সঙ্গে খুব ভাল বন্ধুত্ব তৈরি হয়। তত দিনে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে রিনার সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যেও এসেছে একঘেয়েমি! শেষ পর্যন্ত ২০০২ সালে দু’জনে বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেন, রিনাকে আমি চিনতাম মাত্র চার মাস। অল্প দিনের চেনাজানায় বিয়েটা করে ফেলা অনেক বড় ভুল ছিল। যদিও বিচ্ছেদের পর আমরা একে অপরকে শ্রদ্ধা করি। সেই সময় আমাদের মধ্যে ভালোবাসাটা ছিল বলেই বিয়েটা করি।
রিনার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর কিরণকে বিয়ে করেন আমির। দীর্ঘ দাম্পত্যজীবন ছিল আমির-কিরণের। কিন্তু সেই সম্পর্কও টিকিয়ে রাখতে পারেননি ‘মিস্টার পারফেকশনিস্ট’। কিরণের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর সম্প্রতি গৌরী স্প্র্যাটের মধ্যে নাকি খুঁজে পেয়েছেন ভালোবাসা। এখন তার সঙ্গে একত্রবাস করছেন আমির।