img

আম পাড়া নিয়ে বিবাদ। আর সেই বিবাদ থেকেই বউদি সতী মণ্ডলকে খুন করেন দেবর বিমল মণ্ডল। দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বাসন্তীতে মুণ্ডুকাণ্ডের তদন্তে নেমে প্রাথমিকভাবে এমনটাই জানতে পেরেছে পুলিশ। আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

 

এক হাতে ধারালো অস্ত্র। অন্য হাতে এক মহিলার কাটা মুণ্ডু। শনিবার (৩১ মে) সকালে এই অবস্থায় এক যুবককে ঘুরে বেড়াতে দেখে আঁতকে উঠেছিল বাসন্তীর ভরতগড় এলাকার বাসিন্দারা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে।

 

বাসন্তী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে।

 

পুলিশ সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের মুখে খুনের কথা স্বীকার করেছেন অভিযুক্ত। জানিয়েছেন, হঠাৎ মাথা গরম হয়ে যাওয়াতেই এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমটি জানায়, সতীর স্বামী মাস চারেক আগে মারা যান।

 

আর পড়াশোনার জন্য ছেলে থাকেন সোনারপুর এলাকায়। সতীর বাড়ির পাশেই বিমলের বাড়ি। দুই পরিবারের মধ্যে আগে থেকেই বিবাদ ছিল।

 

পুলিশ জানায়, শনিবার সকালে নিজের বাড়ির সামনেই একটি আমগাছ থেকে আম পাড়ছিলেন সতী। তখন তাকে বাধা দেন দেবর বিমল।

 

দাবি করেন গাছটি তার মালিকানাধীন। সতী পাল্টা জানান, গাছটি তার। তাই আম পাড়ার জন্য তার কারো অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। দুজনের মধ্যে কথা-কাটাকাটি চলতে থাকে। তার পর হঠাৎই বাড়ি থেকে ধারালো অস্ত্র বের করে বউদিকে কুপিয়ে ধড় থেকে মাথা আলাদা করে দেন অভিযুক্ত। তার পর বউদির কাটা মুণ্ডু নিয়ে ঘুরে বেড়ান এলাকায়।

 

এই ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিংয়ের মহকুমা পুলিশ অফিসার (এসডিপিও) রামকুমার মণ্ডল বলেন, ‘অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছেন। গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’

এই বিভাগের আরও খবর