img

অনাজা বড়ি খেয়ে দুইজনের মৃত্যুর পর লন্ডনের একটি কাউন্সিল জরুরি সতর্কতা জারি করেছে। লন্ডনের ইলিং কাউন্সিল এক জরুরি সতর্কবার্তা জারি করে বলেছে, দক্ষিণ লন্ডনের সাউথহল এলাকায় ছুটির দিনে দুই ব্যক্তি নীল রঙের অজানা বড়ি খেয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। কাউন্সিলের মতে, ওই দুইজন একসঙ্গে বড়িগুলো গ্রহণ করেছিলেন এবং পরে দুজনেই মারা যান।

ইলিং কাউন্সিলের বার্তায় বলা হয়, ‘দয়া করে মনে রাখবেন, অবৈধভাবে কেনা কোনো বড়ি বা মাদকের মধ্যে কী রয়েছে বা আপনার শরীর কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবে, তা জানার কোনো উপায় নেই।

’ তাতে আরো বলা হয়, ‘আপনি বা আপনার সঙ্গে কেউ যদি কোনো বড়ি বা মাদক গ্রহণের পর অসুস্থ বোধ করেন, তাহলে দেরি না করে কাছাকাছি হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যান অথবা ৯৯৯ নম্বরে কল করুন। বিশ্রাম নেওয়ার চেষ্টা করবেন না বা প্রচুর পানি খেয়ে ভালো হয়ে যাবেন মনে করবেন না। বরং দ্রুত চিকিৎসা নিন।’

 

বিপজ্জনক মাদকের বিরুদ্ধে সতর্কতা বৃদ্ধি

এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন যুক্তরাজ্যে ভুয়া এমডিএমএ বা এক্সট্যাসি জাতীয় মাদক ছড়িয়ে পড়া নিয়ে চলতি বছর আগে থেকেই সতর্কতা জারি করেছে।

ম্যানচেস্টার মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ‘ম্যানড্রেক’ নামক একটি সংস্থা জানায়, তারা কিছু রহস্যজনক গুঁড়ো পদার্থ পরীক্ষা করে দেখতে পেয়েছে যে, সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘৪এফ-আলফা-পিভিপি’ নামক একটি সিন্থেটিক ক্যাথিনোন। এই পদার্থকে ‘ডিজাইনার ড্রাগ’ হিসেবেও অভিহিত করা হয়, কারণ এটি আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে উদ্দীপক হিসেবে ব্যবহৃত ‘খাট’ উদ্ভিদের মতো প্রভাব সৃষ্টি করতে কৃত্রিমভাবে তৈরি করা হয়।

 

‘৪এফ-আলফা-পিভিপি’ কতটা বিপজ্জনক?

যদিও ‘৪এফ-আলফা-পিভিপি’ সম্পর্কে এখনো অনেক তথ্য অজানা, তবে এটি ইতোমধ্যে একাধিক মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত বলে জানা গেছে। যুক্তরাজ্যের ওষুধের অপব্যবহার সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের মতে, কৃত্রিম ক্যাথিনোনের কারণে মৃত্যু সাধারণত অতিরিক্ত গরম, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো সমস্যা থেকে ঘটে।

 

গবেষণায় কী উঠে এসেছে?

ফিনল্যান্ডে পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, এই ধরনের কৃত্রিম ক্যাথিনোনের কারণে মৃত্যু হওয়া অধিকাংশ ব্যক্তির বয়স ২৫ থেকে ৪৪ বছরের মধ্যে এবং তারা আগে থেকেই নানা ধরনের মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারে জড়িত ছিলেন। ওই গবেষণায় আরো উঠে এসেছে, প্রায় ২৯ শতাংশ মৃত্যুর জন্য কৃত্রিম ক্যাথিনোন দায়ী ছিল। 

এই মৃত্যুর ঘটনা এবং আগের সতর্কতাগুলো তুলে ধরে কর্তৃপক্ষ বারবার বলছে, অবৈধ মাদক গ্রহণের ফলে শরীরে কী প্রতিক্রিয়া হতে পারে, তা একেবারেই অনিশ্চিত। কেউ অসুস্থ হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসা নেওয়া উচিত এবং কোনো পরিস্থিতিতেই অবহেলা করা যাবে না।

সূত্র : মেট্রো

এই বিভাগের আরও খবর