বাদ পড়ে সিনেমার চিত্রনাট্য ‘ফাঁস’, দীপিকার ওপর ক্ষেপলেন সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা

শিডিউল ও পারিশ্রমিক জটিলতার কারণে সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’ সিনেমা থেকে সরে দাঁড়ান দীপিকা পাডুকোন। তার পরিবর্তে সিনেমাটিতে প্রভাসের নায়িকা হন তৃপ্তি দিমরি।
এরমধ্যেই পরিচালকের এক পোস্ট ঘিরে শুরু হয়েছে আলোচনা। দীপিকা ‘স্পিরিট’ এর চিত্রনাট্য ‘ফাঁস’ এবং একই সাথে একজন কম বয়সী অভিনেত্রীকে ছোট করেছেন জানিয়ে অভিযোগ তুলেন পরিচালক।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে করা এক পোস্টে ভাঙ্গা প্রশ্ন তোলেন এটাই নারীবাদের পরিচয় কি না, যা অনেকেই দীপিকার প্রতি সরাসরি ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন।
ভাঙ্গার অভিযোগ, দীপিকা নাকি আসন্ন ছবি ‘স্পিরিট’ এর চিত্রনাট্য ‘ফাঁস’ করেছেন এবং একই সাথে একজন কম বয়সী অভিনেত্রীকে ছোট করেছেন। এই কম বয়সী অভিনেত্রী যে তৃপ্তি দিমরি, তা প্রায় স্পষ্ট।
কারণ কিছুদিন আগেই স্পিরিট ছবিতে প্রভাসের বিপরীতে নারী চরিত্রে দীপিকার বদলে তৃপ্তি দিমরির অভিনয় করার কথা ঘোষণা করে টিম।
এরপরই দীপিকা তার পিআর টিমের মাধ্যমে সিনেমাটির চিত্রনাট্য ‘ফাঁস’ করেছেন বলে জানান পরিচালক।
সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গা লেখেন, যখন তিনি কোনো অভিনেতাকে একটি গল্প শোনান, তখন তিনি শতভাগ বিশ্বাস রাখেন, তাদের ভেতর একটি অলিখিত নন-ডিসক্লোজার অ্যাগ্রিমেন্ট থাকে।
কোন নাম উল্লেখ না করে তিনি লেখেন, এটা করে আপনার আসল পরিচয় প্রকাশ করেছেন, একজন কম বয়সী অভিনেতাকে ছোট করা এবং গল্প ফাঁস করা। এটাই কি নারীবাদের প্রতিনিধিত্ব করে- এমন প্রশ্ন রাখেন।
ভাঙ্গা জানান, একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে, তিনি শিল্পের পেছনে বছরের পর বছর কঠোর পরিশ্রম করেন এবং তার কাছে চলচ্চিত্র নির্মাণই সবকিছু।
দীপিকার উদ্দেশে তিনি লেখেন, আপনি এটা বোঝেননি। আপনি এটা বুঝবেন না। আপনি এটা কোনোদিনও বুঝবেন না।
দীপিকার এই বের হয়ে যাওয়াকে ‘নোংরা পিআর গেম’ আখ্যা দিয়ে ভাঙ্গা আরও লিখেছেন, ‘এমন করো পরেরবার পুরো গল্পটা বলে দিও, এতে আমার কিছু যায় আসে না।
এরপর তিনি প্রবাদ দিয়ে তার টুইটটি শেষ করেছেন, ‘খুন্দাক মে বিল্লি খাম্বা নোচে।’
ভাঙ্গার এই টুইটের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে জল্পনা। অনেকেই মন্তব্য করছেন, পরিচালক যে দীপিকাকেই ইঙ্গিত করেছেন, তা স্পষ্ট।
এর আগে স্পিরিট ছবির ঘনিষ্ঠ সূত্র থেকে জানা গেছে, দীপিকা দিনে ছয় ঘণ্টার বেশি শুটিং করতে রাজি ছিলেন না। তার এজেন্সি চুক্তিতে সংশোধনের দাবি জানিয়েছিল, যেখানে বলা হয়, শুটিং ১০০ দিনের বেশি হলে প্রতিটি অতিরিক্ত দিনের জন্য দীপিকাকে বাড়তি পারিশ্রমিক দিতে হবে। এই বিষয়গুলোই নাকি তার বাদ পড়ার অন্যতম কারণ।