৫৯৮টি সোনার মুদ্রা উদ্ধার, পাহাড়ে মিলল গুপ্তধন

চেক প্রজাতন্ত্রের ক্রকোনোসে পর্বতমালায় আরোহণের সময় দুইজন পর্বতারোহী একটি রহস্যময় লোহার বাক্স খুঁজে পান। যাতে ভর্তি ছিল সোনা ও অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী। গতকাল রবিবার (২৫ মে) সিএনএন জানিয়েছে, এই আবিষ্কারের সম্ভাব্য মূল্য অন্তত ৩ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। তবে এখনো জানা যায়নি এই ধনসম্পদ কোথা থেকে এসেছে বা কে রেখেছে।
পর্বতারোহীরা জানান, তারা একটি পাথুরে পাহাড়ি পথে হাঁটার সময় একটি পাথরের ফাঁকে আটকে থাকা বাক্সটি দেখতে পান। ভেতরে ছিল ৫৯৮টি সোনার মুদ্রা, সোনার ব্রেসলেট, একটি সিগারের বাক্স, পাউডার কম্প্যাক্ট ও ধাতব জিনিসপত্র। তারা বাক্সটি পূর্ব বোহেমিয়ার হ্রাদেক ক্রালোভে জাদুঘরে নিয়ে যান। এখন সেখানে প্রত্নতত্ত্ব বিশেষজ্ঞরা এগুলো পরীক্ষা করছেন।
জাদুঘরের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রধান মিরোস্লাভ নোভাক বলেন, ‘মুদ্রাগুলো এই এলাকার নয়। তাই বোঝা যাচ্ছে না কে এগুলো রেখেছে বা কেন রেখেছে।’ তিনি আরও জানান, বাক্সের মধ্যে থাকা একটি মুদ্রা ১৯২১ সালের। এটি কোনো নির্দিষ্ট ঐতিহাসিক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কিনা, তা বোঝা কঠিন।
নোভাক মনে করেন, এই ধনসম্পদ হয়তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আগে কোনো চেক বা ইহুদি পরিবার লুকিয়ে রেখেছিল অথবা ১৯৪৫ সালের পরে জার্মানদের স্থানান্তরের সময় কারও ফেলে যাওয়া হতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এসবই শুধু অনুমান।
এই খবর জানাজানি হওয়ার পর স্থানীয় মানুষদের মধ্যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে। অনেকেই নিজেদের মতামত ও তত্ত্ব শেয়ার করছেন। জাদুঘরের কর্মীরা এখন সতর্কভাবে বাক্সের প্রতিটি জিনিস খতিয়ে দেখছেন।
নোভাক বলেন, ‘আমরা শুধু এর দাম জানতেই চাই না, বরং জানার চেষ্টা করছি এর পেছনে থাকা ইতিহাস। এই জিনিসগুলো হয়তো এক শতাব্দী আগের মানুষের জীবন ও ঘটনার কিছু গল্প বলবে।’ জাদুঘর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গবেষণা শেষ হলে এই মূল্যবান সামগ্রী জনসাধারণের জন্য প্রদর্শন করা হবে। আপাতত সবকিছু একটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে।
এই ধরণের আবিষ্কার খুবই বিরল এবং এটি ইতিহাস গবেষক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহল তৈরি করেছে। তবে এখনো পর্যন্ত এই সোনার বাক্স রয়ে গেছে একটি রহস্যময় ধাঁধা হিসেবে।