img

ইলন মাস্কের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বের নাম টুইটার)। প্রতিষ্ঠানটি শুক্রবার এবং শনিবার (২৪ মে) বড় ধরনের বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়। শুক্রবার ইলন মাস্কের এক্স প্ল্যাটফর্মে দেখা দিয়েছে বিভিন্ন ‘বাগ’ সমস্যা।

২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এক্স-এর ব্যবহারকারীরা নানা রকম সমস্যার মুখে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন।

অনেকেই অভিযোগ করছেন, মেসেজ লোড হওয়া, টাইমলাইন আপডেট হওয়া ও পোস্ট দেখতে পাওয়ার মতো সাধারণ ফিচারগুলো সঠিকভাবে কাজ করছে না।

 

এক্সের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যাকাউন্ট তখন জানায়, ‘এক্স জানে আমাদের কিছু ব্যবহারকারী আজ প্ল্যাটফর্মে পারফরম্যান্স সম্পর্কিত কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা একটি ডেটা সেন্টার বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছি এবং সমস্যাটির সমাধানে আমাদের টিম সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।’ 

শনিবারের দুই ঘণ্টাব্যাপী বিভ্রাটের পর মাস্ক জানান, তিনি তার বিভিন্ন কম্পানির ওপর আরো বেশি মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছেন।

এএফপির প্রতিবেদনে এই খবর বলা হয়েছে। 

 

বিভ্রাটের পর এক পোস্টে মাস্ক লিখেছেন, ‘আবার ২৪/৭ কাজ আর কনফারেন্স/সার্ভার/ফ্যাক্টরি রুমেই ঘুমানো শুরু।’

তিনি জানান, তার ফোকাস এখন এক্স, এক্সএআই, টেসলা এবং আসন্ন স্পেসএক্স স্টারশিপ উৎক্ষেপণের দিকে। স্পেসএক্স আগামী সপ্তাহেই স্টারশিপ উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে, যদিও আগের দুটি পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ বিস্ফোরণে শেষ হয়েছিল।

তবে এই প্রকল্পটি মাস্কের মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

 

টেসলার শেয়ারের দাম কমে যাওয়া এবং সরকারি ব্যয় হ্রাস নিয়ে সমালোচনার মুখে মাস্ক ‘ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি’ (ডিওজিই)-তে তার সম্পৃক্ততা কমিয়ে সপ্তাহে এক বা দুই দিনে নামিয়ে এনেছেন। তবে তিনি এখনো ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা হিসেবে যুক্ত রয়েছেন এবং সম্প্রতি ওভাল অফিসে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক বৈঠকেও অংশ নেন।

বিভ্রাটের পর মাস্ক বলেন, ‘এই সপ্তাহে এক্স-এ বিভ্রাট প্রমাণ করে যে, বড় ধরনের কার্যকরী উন্নয়ন প্রয়োজন। ব্যাকআপ সিস্টেম কাজ করা উচিত ছিল, কিন্তু তা হয়নি।

’ এএফপি জানায়, বিভ্রাটের পর শনিবার সকালে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে আসে এক্স।

 

সাইবার গোয়েন্দা সংস্থা এসআইটিই জানিয়েছে, ডাইনেট নামক একটি হ্যাকার গ্রুপ এ বিভ্রাটের দায় স্বীকার করেছে। যাকে তারা তাদের ডিস্ট্রিবিউটেড ডিনায়াল অব সার্ভিস ক্ষমতার পরীক্ষা হিসেবে উল্লেখ করেছে। তবে এএফপি এই দাবির সত্যতা নিশ্চিত করতে পারেনি এবং এক্স কর্তৃপক্ষও কোনো মন্তব্য করেনি।

এদিকে মাস্ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি রাজনীতি থেকে কিছুটা সরে আসছেন। তিনি স্বীকার করেছেন যে ট্রাম্পের প্রচারণায় ২৩৫ মিলিয়ন ডলার ব্যয় এবং সরকারি দক্ষতা বৃদ্ধির প্রচেষ্টা প্রত্যাশিত ফল দেয়নি। ভবিষ্যতে রাজনৈতিক অর্থায়ন সীমিত করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও তিনি জানান, ‘যা প্রয়োজন ছিল, তা আমি করেছি।’

বিশ্বের শীর্ষ ধনী মাস্ক বর্তমানে এক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রতিষ্ঠান এক্সএআই (যা গ্রোক নামের চ্যাটবট তৈরি করেছে), বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা টেসলা এবং মহাকাশযান নির্মাতা স্পেসএক্স পরিচালনা করছেন। পাশাপাশি তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে সরকারি ব্যয় হ্রাসে পরামর্শদাতা হিসেবেও কাজ করছেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এই বিভাগের আরও খবর