ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্পে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত

আজ শুক্রবার ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের কাছে ৫.৭ মাত্রার একটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) এই খবর জানিয়েছে। ভূমিকম্পে শতাধিক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি।
ভূমিকম্পটি স্থানীয় সময় রাত ২টা ৫২ মিনিটে (গ্রিনউইচ মান সময় বৃহস্পতিবার ১৯:৫২) ৬৮ কিলোমিটার (৪২.২ মাইল) গভীরে সংঘটিত হয়।
উপকূলের কাছে বেঙ্গকুলু প্রদেশের সন্নিকটে ছিল এর উপকেন্দ্র। তবে ইন্দোনেশিয়ার আবহাওয়া ও ভূকম্পন সংস্থা ভূমিকম্পের মাত্রা ৬.০ এবং গভীরতা ৮৪ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে। সংস্থাটি নিশ্চিত করেছে, এতে সুনামির কোনো আশঙ্কা নেই।
জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা (বিএনপিবি)-এর মুখপাত্র আবদুল মুহারি এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, বেঙ্গকুলু শহরে ভূমিকম্পে ১৪০টি ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার মধ্যে ৮টি সম্পূর্ণভাবে ধসে পড়েছে এবং সেগুলো মেরামতের অযোগ্য।
তিনি আরো জানান, সেন্ট্রাল বেঙ্গকুলু জেলায় দুটি ঘর আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত কোনো প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি বলে জানান আবদুল। বেঙ্গকুলুর অনেক বাসিন্দা ভূমিকম্পের ধাক্কায় ঘুম ভেঙে বাইরে বেরিয়ে আসেন।
৩৬ বছর বয়সী এরিক কাতুর নুগ্রোহো এএফপিকে বলেন, ‘ভূমিকম্পের সময় আমার বাড়ির জানালাগুলো প্রবলভাবে কাঁপছিল, সেটিই আমাদের জাগিয়ে তোলে।
আমরা তড়িঘড়ি করে বাচ্চাদের নিয়ে বাড়ির বাইরে চলে আসি। বাইরে এসে দেখি আশেপাশের সবাই দরজার সামনে দাঁড়িয়ে, কেউ ঘরের ভেতরে নেই।’
প্রশান্ত মহাসাগরীয় ‘রিং অব ফায়ার’ অঞ্চলজুড়ে অবস্থান করায় ইন্দোনেশিয়ায় ভূমিকম্প একটি সাধারণ ঘটনা। এই অঞ্চলটি একটি ভূমিকম্প-প্রবণ এলাকা, যেখানে টেকটোনিক প্লেট একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে সুলাওয়েসিতে ৬.২ মাত্রার এক ভূমিকম্পে ১০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হন এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।
এর আগে ২০১৮ সালে সুলাওয়েসির পালুতে ৭.৫ মাত্রার ভূমিকম্প ও পরবর্তী সুনামিতে ২ হাজার ২০০ জনের বেশি মানুষ প্রাণ হারান। ২০০৪ সালে আচেহ প্রদেশে ৯.১ মাত্রার ভূমিকম্প এবং পরবর্তী সুনামিতে ইন্দোনেশিয়ায় প্রাণ হারান ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।
সূত্র : এএফপি