ইংলিশ চ্যানেল পার হতে গিয়ে মা-শিশুর প্রাণহানি

ফ্রান্স উত্তরাঞ্চলীয় উপকূল থেকে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে যুক্তরাজ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করতে গিয়ে এক নারী ও এক শিশু প্রাণ হারিয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকালের মধ্যে ফ্রান্সের উত্তর উপকূলের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
চ্যানেল ও উত্তর সাগর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ম্যারিটাইম প্রিফেকচার বুধবার এক বিবৃতিতে জানায়, একটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌকায় করে প্রায় ৮৫ জন অনিয়মিত অভিবাসী চ্যানেল পাড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছিল। সেখান থেকে ১০ জন ফরাসি কর্তৃপক্ষের কাছে সাহায্যের আবেদন জানায়।
প্রিফেকচারের তথ্য অনুযায়ী, ফরাসি নৌবাহিনীর একটি জাহাজ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। এ সময় নৌকার ভেতর থেকে এক নারী ও এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই নারী সম্পর্কে শিশুটির মা। তবে নৌকাটি উদ্ধারকাজের মাঝেই বাকি যাত্রীদের নিয়ে ইংল্যান্ডের দিকে যাত্রা অব্যাহত রাখে বলে জানায় প্রেমার।
সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে এএফপির হিসাব অনুযায়ী, সর্বশেষ এই ট্র্যাজেডির মাধ্যমে গত ১০ দিনে ব্রিটেনে পৌঁছনোর চেষ্টা করতে গিয়ে প্রাণ হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে পাঁচে।
এর আগে চলতি সপ্তাহের শুরুতে গত সোমবার প্রেমার জানিয়েছিল, একটি অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই নৌকা ডুবে গিয়ে একজন অভিবাসীর মৃত্যু ও আরেকজন নিখোঁজ হয়েছে। তার আগে গত ১১ মে হারদেলোর উপকূলে এক নৌকা দুর্ঘটনায় এক অভিবাসীর মৃত্যু হয় এবং আরো কয়েকজন আহত হয়। নৌকার পেছনের অংশ ভেঙে যাওয়ায় এই দুর্ঘটনা ঘটে বলে প্রিফেকচার জানিয়েছে।
এ বছর ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জন অভিবাসী ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছে। ২০২৪ সালে এই সংখ্যাটি ছিল ৭৮, যা ২০১৮ সাল থেকে শুরু হওয়া এই বিপজ্জনক রুটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত বিপজ্জনক এ ধরনের পারাপারের মাধ্যমে ব্রিটেনে পৌঁছেছে ৩৬ হাজার ৮০০-এরও বেশি মানুষ, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২৫ শতাংশ বেশি।