মে মাসের শেষ নাগাদ সেনা প্রত্যাহারে সম্মত পাকিস্তান-ভারত

ভারত ও পাকিস্তান তাদের সাম্প্রতিক সংঘাতের সময় মোতায়েন করা অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র মে মাসের শেষ নাগাদ শান্তিকালীন অবস্থানে ফিরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। এক জ্যেষ্ঠ পাকিস্তানি নিরাপত্তা কর্মকর্তা মঙ্গলবার এএফপিকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
গত মাসে ভারতশাসিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ইসলামাবাদকে দায়ী করে নয়াদিল্লি, যদিও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে। ওই হামলার জেরে চার দিনব্যাপী দুই দেশের সংঘাতে ৭০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়।
ড্রোন, ক্ষেপণাস্ত্র, যুদ্ধবিমান ও কামান ব্যবহার করে পাল্টাপাল্টি হামলার মাধ্যমে সংঘর্ষ তীব্র আকার ধারণ করে। এক পর্যায়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হঠাৎ ঘোষণা করা যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে তা থেমে যায়, যা এখনো কার্যকর রয়েছে।
নাম না প্রকাশের শর্তে ওই নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেন, ‘মে মাসের শেষ নাগাদ সেনারা সংঘাতপূর্ব অবস্থানে ফিরে যাবে।’
তিনি আরো জানান, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখা বা লাইন অব কন্ট্রোলে (এলওসি) যে অতিরিক্ত সেনা ও অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করা হয়েছিল, তা ধাপে ধাপে প্রত্যাহার করার বিষয়ে দুই দেশ সম্মত হয়েছে।
এর আগে গত সপ্তাহে ভারতীয় সেনাবাহিনীও জানায়, উভয় দেশ সীমান্ত ও সীমান্তবর্তী অবস্থান থেকে সেনা কমানোর জন্য অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তা আরো বলেন, ‘এসব পদক্ষেপ শুরুতে ১০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার পরিকল্পনা ছিল, তবে কিছু ছোটখাটো সমস্যার কারণে বিলম্ব হয়েছে।’
ভারত ও পাকিস্তান—উভয় দেশই কাশ্মীরকে নিজেদের পূর্ণাঙ্গ ভূখণ্ড হিসেবে দাবি করে এবং ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর থেকে অঞ্চলটি নিয়ে একাধিক যুদ্ধ করেছে। সর্বশেষ এই সংঘাত শুরু হয় ৭ মে, যখন পাকিস্তানের ভেতরে ভারত ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে’ হামলা চালানোর দাবি করে, যার পরপরই পাকিস্তান পাল্টা জবাব দেয়।