img

গাজা উপত্যকায় ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নিতে ইসরায়েলি হামলা জোরদারের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ তার ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশগুলো সে দেশের প্রতি সমর্থন প্রত্যাহার করতে পারে বলে ওয়াশিংটন পোস্টের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। তবে এই দাবি অস্বীকার করেছেন মার্কিন প্রভাবশালী এক কর্মকর্তা।

এই বিষয়ে প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, ট্রাম্প প্রশাসন ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকারকে সতর্ক করেছে, গাজায় যুদ্ধ শেষ করতে ব্যর্থ হলে ওয়াশিংটন তেল আবিবকে আর সমর্থন দেবে না।

আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদপত্রটি জানিয়েছে, “ট্রাম্পের প্রতিনিধিরা ইসরায়েলকে জানিয়েছেন, ‘যুদ্ধ শেষ না করলে যুক্তরাষ্ট্র ইসরাইলকে পরিত্যাগ করবে’।”

 

এ ছাড়া হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেছেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প চান গাজায় যুদ্ধের অবসান হোক।’

 

গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফরের সময় নেতানিয়াহুর সঙ্গে দেখা না করা নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের চাপের বিষয়ে এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। ট্রাম্প তার সফরের সময় সৌদি আরব, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরবদেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বলেছিলেন, গাজায় ‘অনেক মানুষ অনাহারে’ রয়েছে।

এদিকে ব্রিটেন, ফ্রান্স ও কানাডার নেতারাও সোমবার গাজায় ইসরায়েলের ‘জঘন্য কর্মকাণ্ডের’ নিন্দা জানিয়েছেন এবং ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক আক্রমণ বন্ধ না করলে যৌথ পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছেন।

 

অন্যদিকে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনের পাল্টা জবাব দিয়েছে। যেখানে একজন মার্কিন কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেছেন, উভয় পক্ষের মধ্যে মতবিরোধ থাকতে পারে, কিন্তু ‘আমরা ইসরায়েলকে পরিত্যাগ করব—এই ধারণাটি হাস্যকর’।

ইসরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এই দাবি উড়িয়ে দিয়ে ওয়াইনেট নিউজকে বলেন, ‘তাদের প্রতিবেদন অর্থহীন।

প্রেসিডেন্ট যা বলছেন তাদের তা শুনতে হবে। কিছু অজ্ঞাত উৎস থেকে নয়, যারা সব কিছু জানার ভান করে।’

 

এর আগে এক ভিডিও বার্তায় গাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ঘোষণা দেন নেতানিয়াহু।

এই বিভাগের আরও খবর