img

শিল্পীদের কি রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে অংশ নেওয়া উচিত নয়? এমনই প্রশ্ন তুলেছেন ‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’-এর বোরহান ভাই কিংবা ফিমেল নাটকের লাবু কমিশনার খ্যাত শরাফ আহমেদ জীবন। তার যুক্তি, যদি সরকারি কাজে অংশ নেওয়া হয় তাহলে তো আরেক সরকার এসে গ্রেপ্তার করবে। 

তার এই মতামতের পক্ষে নেটিজেনরাও সায় দিয়েছেন। 

জীবন নিজের ফেসবুক হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘একটু আগে একটা  চ্যানেলের লাইভে দেখলাম নুসরাত ফারিয়াকে আদালতে নেওয়া হচ্ছে!... কোনো এক অদ্ভুত কারণে মনটা খারাপ হয়ে গেল! বোঝার চেষ্টা করলাম।

নুসরাত ফারিয়ার অপরাধটা কী? আপাত দৃষ্টিতে অপরাধ দুইটা... ১. মুজিব সিনেমায় অভিনয় করা! ২. জুলাই-আগস্টে শেখ হাসিনার সাথে সেও হত্যা মামলার আসামি!

 

মুজিব সিনেমার সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না জানতে চেয়ে এই নির্মাতা ও অভিনেতা বলেন, ‘কী ভয়ংকর হাস্যকর! নুসরাত ফারিয়া একজন শিল্পী! সে মুজিব সিনেমায় অভিনয় করেছে! আরো অনেক শিল্পীই অভিনয় করেছে! অনেক শিল্পী অডিশন দিয়েছে। বাদ পড়েছে। অনেকে নানা ভাবে সংশ্লিষ্ট ছিল! তাহলে তাদের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হবে?’

 

শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, ‘আমি ভাবছি আমার কথা! নুসরাত ফারিয়ার জায়গায় আমিও থাকতে পারতাম! আমাকে ডাকলে আমিও যেতাম। কারণ দুইটা-  ১. আমি শিল্পী।

 শিল্পীর কাজ হলো যেকোনো শিল্প মাধ্যমে নিজেকে যুক্ত করা। ২. ক্ষমতা! এইটার ব্যাখ্যা দরকার নাই! 

 

তিনি বলেন, ‘এখন আসি আসল কথায়, বর্তমান সরকার কোনো শিল্পীকে সরকারি কোনো কাজে ডাকল এবং পরের সরকার এসে গ্রেপ্তার করল! হইতেই পারে। তাইলে শিল্পীর কী করা উচিত! দেশের বা রাষ্ট্রীয় কোনো কাজে অংশগ্রহণ থেকে নিজেকে বিরত রাখা! বিচার হোক প্রকৃত অপরাধীর!

 নুসরাত ফারিয়া সম্পর্কে জীবন বলেন, ‘এমন অনেক শিল্পী আছে যারা, অনেকেই গ্রেপ্তার হয়েছে। আমার ধারণা, সাধারণ মানুষ এতে খুশি হয়েছে।

কারণ এরা আসলে প্রকৃত শিল্পী ছিল না! এরা ছিল শিল্পীর মুখোশধারী ক্ষমতালোভী! নুসরাত ফারিয়াকে আমার অন্তত এদের দলের মনে হয়নি!’

 

চক্কর সিনেমার নির্মাতা বলেন, শেষমেশ, আমার ‘চক্কর’ সিনেমার একটা সংলাপ দিয়ে শেষ করি, ‘সব আলামত সত্যি হয় না। কিছু আলামত মূল কাজের ফোকাস নষ্ট কইরা দেয়।’  প্রিয় সরকার, আপনাদের ফোকাস নষ্ট কইরেন না, প্লিজ!’

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ