গাজায় ‘জাতিগত নিধন’, ভোর থেকে ১২৫ ফিলিস্তিনি নিহত

গাজা উপত্যকায় রবিবার (১৮ মে) ভোর থেকে শুরু হওয়া ইসরায়েলি বাহিনীর বিমান ও স্থল হামলায় অন্তত ১২৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
আল জাজিরা তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর চলমান অভিযান হামাসের বিরুদ্ধে নয়, বরং ফিলিস্তিনের পরিবারগুলোর বিরুদ্ধে এক জাতিগত নিধনযজ্ঞে রূপ নিয়েছে।
বিশেষ করে দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমে ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত আল-মাওয়াসি এলাকাটি এখন এক ভয়াবহ মৃত্যুকূপে পরিণত হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর ‘নিরাপদ অঞ্চল’ হিসেবে পরিচিত হওয়ায় গৃহহীন ও সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা এখানে আশ্রয় নিয়েছিল।
অথচ আল-মাওয়াসিতে রোববার নিহত হয়েছেন অন্তত ৩৬ জন।
জাতিগত নিধন শুরুর পর টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর সাম্প্রতিক হামলাকে ‘নৃশংস অপরাধ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে।
হামাস জানায়, আশ্রয়প্রার্থী সাধারণ মানুষদের তাঁবুর ভেতর পুড়িয়ে মারা যুদ্ধাপরাধের শামিল, যা ইসরায়েলের নেতানিয়াহু সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণকে তুলে ধরে।
হামাস আরও অভিযোগ করেছে, আন্তর্জাতিক মানবিক আইন এবং নীতিমালার এই চরম লঙ্ঘনের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক ও সামরিক সহযোগিতা দায়ী।
এ অবস্থায়, গাজায় চলমান প্রাণঘাতী হামলা বন্ধে আরব ও ইসলামি রাষ্ট্রগুলোকে তাদের দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছে হামাস।