আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে মোদির পদতলে সঁপে দিতে চেয়েছিল : কাদের গনি চৌধুরী

আওয়ামী লীগ স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কথা বলে বাংলাদেশকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পদতলে সঁপে দিতে চেয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল তিনটায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মাওলানা ভাসানীর ফারাক্কা লং মার্চ দিবস উপলক্ষ্যে এক গণসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। অনুষ্ঠানটি নিউইয়র্ক- যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটির সহায়তায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ফারাক্কা কমিটি আয়োজন করে।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আজকের দিবসটি ঐতিহাসিক দিন।
কারণ দেশের প্রথম সর্বজনীন পানি অধিকারের আন্দোলনটি এই দিনে হয়েছিল। যা পরবর্তীতে জাতীয় চেতনায় গভীর চাপ রেখেছিল।
মাওলানা ভাসানী অত্যন্ত দূরদর্শী চিন্তাশীল ব্যক্তি এবং দার্শনিক ছিলেন উল্লেখ্য করে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব বলেন, তিনি চিন্তা করেছিলেন ফারাক্কা বাঁধ দিলে বাংলাদেশ মরুভূমিতে পরিণত হয়ে যাবে। সেজন্য তিনি টাঙ্গাইল থেকে ফারাক্কা অভিমুখে লক্ষ জনতাকে নিয়ে লংমার্চ করেন।
তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আরেক দূরদর্শী রাজনীতিবিদ। তিনি এ দেশের মাটি ও মানুষের অত্যন্ত আপনজন। জিয়াউর রহমান ফারাক্কা বাঁধ নিয়ে ভারতকে চাপ সৃষ্টির জন্য জাতিসংঘে বিষয়টি তুলেছিলেন। মাওলানা ভাসানী ও জিয়াউর রহমান যে চিন্তা থেকে ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন তাদের সে চিন্তা চেতনার প্রতিটি জিনিস যেন আমরা হাতে নাতে ফল পাচ্ছি।
আজকে এই ফারাক্কা বাঁধের কারণে দক্ষিণ পশ্চিম অঞ্চলের বিস্তীর্ণ জনপদ প্রাণ প্রকৃতি জনজীবন বিপর্যস্ত।
তিনি আরো বলেন, মাওলানা ভাসানী, জিয়াউর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া ফারাক্কা বাঁধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলেও দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তাদের প্রতিবাদ ধরে রাখতে পারিনি। কারণ আওয়ামী লীগ নামে একটি দালাল দল, একটা দ্বিতীয় লেন্দুপ দর্জি শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ছিল বলেই আমরা ভারতের আগ্রাসী কার্যকলাপের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারিনি। তারা স্বামী-স্ত্রীর মত সম্পর্কের কথা বলে নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে বাংলাদেশকে মোদির পদতলে সঁপে দিতে চেয়েছিল। আল্লাহর অসীম রহমতে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এই লেন্দুপ দর্জিকে ঠেকানো গেছে বলে বাংলাদেশ হয়তো বেঁচে থাকার স্বপ্নটা নতুন করে দেখছে।
শেখ হাসিনা ভারতের বিরুদ্ধে একটি শব্দ পর্যন্ত উচ্চারণ করতে দেইনি উল্লেখ করে কাদের গনি চৌধুরী বলেন, আজকে বাংলাদেশ ঘুরে দাঁড়িয়েছে। বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছে। আমরা চাই আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে সুসমন্বিত রাখতে। আমরা চাই বাংলার মাটিতে আর কোন যেন লেন্দুপ দর্জির জন্ম না হয়। আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা চাই।
প্রতিবেশী হিসেবে ভারতের প্রতি সম্মান আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তুমি আগ্রাসী হবা, তুমি দাদাগিরি করবা, তুমি আমার কণ্ঠ রোধ করতে চাইবা, তুমি পানি আটকে রাখবা সেটা বাংলার মানুষ মেনে নিবে না। আমরা একেকজন মাওলানা ভাসানী হব, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান হব। দেশ মাতৃকাকে রক্ষার জন্য প্রয়োজনে নিজের জীবন বাজি রাখবো।