img

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গতকাল মঙ্গলবার (১৩ মে) সিরিয়ার নতুন সরকারের প্রতি আস্থা রেখে দেশটির উপর থেকে দীর্ঘদিনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন। এতে হোমস, লাটাকিয়া সহ সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে শুরু হয় আনন্দ মিছিল ও রাস্তায় নেমে উদযাপন। শহরজুড়ে বাজছে গাড়ির হর্ণ, উঠেছে আনন্দধ্বনি, আকাশজুড়ে আতশবাজি। সব মিলিয়ে উৎসবের আমেজে মেতে উঠেছে সিরিয়ার জনগণ।

 

সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, হোমস শহরের কেন্দ্রীয় চত্বরে শত শত মানুষ সিরিয়া ও সৌদি আরবের পতাকা হাতে স্লোগান দিচ্ছেন, ‘সৌদি আরব জিন্দাবাদ! সালমান জিন্দাবাদ!’ আতশবাজিতে আলোকিত হয়ে ওঠে পুরো শহর।

সিরিয়ায় গত বছরের ডিসেম্বরে আসাদ সরকারের পতনের পর নতুন সরকার ক্ষমতায় আসে, যার নেতৃত্বে আছেন আহমেদ আল-শারা। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তকে সিরিয়ার নতুন সরকারের জন্য একটি বড় জয় হিসেবে দেখা হচ্ছে। ট্রাম্প নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন সৌদি আরবের রিয়াদে একটি বিনিয়োগ সম্মেলনে।

 

তিনি বলেন, সিরিয়া বহু বছর ধরে যুদ্ধ আর ধ্বংসের মুখোমুখি হয়েছে। এখন তাদের একটা সুযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। ট্রাম্প জানান, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তিনি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

 

সিরিয়ার নতুন সরকার
আহমেদ আল-শারা একসময় আল-কায়েদা-ঘনিষ্ঠ জাবহাত আল-নুসরা গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন।

 

তবে ২০১৬ সালে তিনি আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন। ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে তাকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি না দিলেও উচ্চ পর্যায়ের যোগাযোগ শুরু হয়েছে। সিরিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নিদাল আল-শার বলেন, ‘দেশ এখন নতুন এক যুগে প্রবেশ করছে। অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে, বিদেশি বিনিয়োগ আসবে।’ জাতিসংঘের দূত গিয়ার পেডারসেন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এটা স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে সাহায্য করবে এবং অর্থনীতি পুনর্গঠনে সহায়তা করবে।’

 

যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আগেই সিরিয়ার ওপর কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। এখন আমেরিকার পদক্ষেপে সিরিয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সহায়তার দরজা আরও খুলে গেল। তবে মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম সতর্ক করে বলেন, ‘এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে শক্তি দিয়ে, জনগণের ভোটে নয়। তাই সাবধানে পদক্ষেপ নিতে হবে।’

সূত্র : সিএনএন

এই বিভাগের আরও খবর