img

আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান চলাচল সংস্থা (আইসিএও) সোমবার এক ঘোষণায় জানিয়েছে, ২০১৪ সালে ইউক্রেনের আকাশে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট এমএইচ১৭ ভূপাতিত করার ঘটনায় রাশিয়াই দায়ী। 

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, সেই ঘটনায় বিমানের ২৯৮ যাত্রী ও ক্রু সদস্যের সবাই নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক এবং ১৯৬ জন ছিলেন নেদারল্যান্ডসের। 

অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের দায়ের করা মামলা তথ্য ও আইনের ভিত্তিতে সুপ্রতিষ্ঠিত বলে জানায় আইসিএও।

 

এছাড়া রাশিয়ান ফেডারেশন আন্তর্জাতিক বিমান আইনের অধীন তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে বলেও মন্তব্য করে সংস্থাটি। 

 

যদিও আইসিএও’র নিজস্ব কোনও নিয়ন্ত্রক ক্ষমতা নেই, তবে সংস্থাটি নৈতিক কর্তৃত্ব বহন করে এবং এর তৈরি করা নীতিমালা বিশ্বব্যাপী ১৯৩টি সদস্য রাষ্ট্র অনুসরণ করে।

রায়ের প্রতিক্রিয়ায় নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্প বলেন, ‘এই রায় সত্য প্রতিষ্ঠা এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। এই সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে স্পষ্ট বার্তা দেয়, কোনো রাষ্ট্রই আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে পার পেতে পারে না।’

 

অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওং রায়কে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘এই ভয়ঙ্কর সহিংসতার দায় স্বীকার করে রাশিয়াকে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’

ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রিই সিবিহাও বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত অপরাধের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার পথে আরেকটি ধাপ। রাশিয়া যতই মিথ্যা প্রচারে অর্থ ব্যয় করুক, সত্যের জয় হবেই।’

২০১৪ সালের ১৭ জুলাই, নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডাম থেকে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরগামী মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলের আকাশে ভূপাতিত হয়।

 

সে সময় ওই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় বাহিনীর সঙ্গে রাশিয়াপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সংঘর্ষ চলছিল। 

 

পরবর্তীতে তদন্তে জানা যায়, বিমানটি একটি রাশিয়ার নির্মিত ভূমি থেকে আকাশে উৎক্ষেপণযোগ্য ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে গুলি করে ভূপাতিত করা হয়। 

ঘটনার পর রাশিয়াপন্থি বিদ্রোহীরা দাবি করে, বিমানটি ইউক্রেনীয় যুদ্ধবিমান থেকে গুলি করা হয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তখন ইউক্রেনকেই দায়ী করেন। 

এই বিভাগের আরও খবর