img

ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত ছিল গোটা এশিয়া মহাদেশ। দুই দেশের যুদ্ধাবস্থা উত্তাপ ছড়িয়েছে সবখানে। যে উত্তাপ দেখা যাচ্ছে শোবিজ অঙ্গনেও। ভারত-পাকিস্তান দুই দেশের তারকারাও নিজ নিজ দেশের হয়ে কথা বলেছেন।

পাকিস্তানে হামলা করা ভারতের অপারেশন সিঁদুরকে সমর্থন ও প্রশংসা জানিয়ে নানা মন্তব্যও করেছেন ভারতের তারকারা। বিপরীতে পাকিস্তানি তারকারাও ছিরেন নিজ দেশের পক্ষে সরব। এই যুদ্ধাবস্থায় পাকিস্তানি তারকাদের ফের ভারতের মাটিতে নিষিদ্ধ করা হয়। এবার আরো এক পাকিস্তানি অভিনেত্রীকে বাদ দেওয়া হলো ভারতীয় সিনেমা থেকে।

 

২০১৬ সালে বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল ‘সানাম তেরি কাসাম’। এটি বক্স অফিসে ম্যাজিক দেখাতে পারেনি। বরং মুখ থুবড়েই পড়েছিল। কিন্তু যত দিন গেছে, সিনেমাটি ধীরে ধীরে মন জয় করে নিয়েছে দর্শকের।

হর্ষবর্ধন-মাওরার জুটিও দর্শকমনে নিজেদের জায়গা পাকা করে নিয়েছে অদ্ভুতভাবে। সাম্প্রতিক সময়ে সিনেমাটি পুনরায় মুক্তি দেওয়া হয়। এবার সুপারহিট হয় প্রেক্ষাগৃহে। 

 

ইতোমধ্যে ‘সানাম তেরি কাসাম’-এর সিক্যুয়াল তৈরির ঘোষণা দিয়েছে নির্মাতারা। দ্বিতীয় কিস্তিতেও থাকছেন প্রথম সিনেমার সেই জুটি।

সব ঠিকঠাক। তবে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ যেন সব হিসাব বদলে দিলো। সিনেমা থেকে বাদ পড়লেন মাওরা হোকেন। নিজ দেশ পাকিস্তানের পক্ষে মন্তব্য করায় অভিনেত্রীকে বাদ দেওয়া হয়েছে সিনেমাটি থেকে। 

 

‘সানাম তেরি কাসাম’-এর অভিনেতা হর্ষবর্ধন রানেও পাক অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন। পাকিস্তানের কোনও তারকা সিনেমায় কাজ করলে তিনি নেই বলে সাফ জানিয়ে দেন। আর তারপরই যেন শাস্তি নেমে এল পাক অভিনেত্রী মাওরা হোকেনের উপর। বাদ দেওয়া হলো তাকে।

 

সিনেমাটির পরিচালক রাধিকা রাও এবং বিনয় সাপ্রু সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছেন, “দেশ, রাজ্য, বাসিন্দাদের উপর যেকোনও ধরনের সন্ত্রাসই ঘৃণ্য। পাকিস্তানের যেসব তারকারা ভারতে কাজ করেছেন, ভালোবাসা পেয়েছেন এমন সময়ে তাঁদের নীরবতা যন্ত্রণা দেয়। কেউ কেউ তো আবার একধাপ এগিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ভারতের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে। তবে আমরা সবসময় সরকারের সিদ্ধান্তের পাশে আছি। কারণ, দেশ সবসময় সকলের আগে। জয় হিন্দ।”

২০১৬ সালে মুক্তি পেয়েছিল রোম্যান্টিক ড্রামা ‘সানাম তেরি কাসাম’। দীপক মুকুটের প্রযোজনায় বলিউডের এই রোমান্টিক-ড্রামা সিনেমাতে তেলুগু ফিল্মস্টার হর্ষবর্ধন রানের সঙ্গে জুটি বাঁধতে দেখা গিয়েছিল পাক মডেল-অভিনেত্রী  মাওরা হোকেনকে। ২৩ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি যুবতী ছিলেন ওয়াঘার ওপারের দেশের ফ্যাশন ডিজাইনের ছাত্রী। মডেলিং, ভিডিও জকি হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। সেখান থেকে সোজা বলিউড। মাওরা এবং হর্ষবর্ধন দুজনেই নিজেদের বলিউডে অভিষেক করেছিলেন এই সিনেমা দিয়ে। 

এই বিভাগের আরও খবর