img

ফিলিপাইনে শুরু হয়েছে বহু প্রতীক্ষিত মধ্যবর্তী নির্বাচন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, সোমবারের (১২ মে) নির্বাচনে রাজনৈতিক সহযোগী থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠা প্রেসিডেন্ট ফের্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়র এবং অভিশংসিত সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট সারা দুতের্তের মধ্যে চলছে এক ছায়া যুদ্ধ। 

প্রায় ১১ কোটি জনসংখ্যার এই দ্বীপরাষ্ট্রে ১৮,০০০ এর বেশি পদে ভোটগ্রহণ চলছে, যার মধ্যে রয়েছে মেয়র, গভর্নর, কংগ্রেস সদস্য এবং ২৪ সদস্যবিশিষ্ট সিনেটের প্রায় অর্ধেক আসন।

সিনেটের ১২টি আসনের এই লড়াই বিশেষ নজরে, কারণ এই সদস্যরাই পরবর্তীতে সারা দুতের্তের অভিশংসনের বিচারকার্যে ভোট দেবেন।

যদি তিনি সিনেট থেকে কমপক্ষে ৯টি ভোট না পান, তবে তাকে আজীবনের জন্য সরকারি পদ থেকে অযোগ্য ঘোষণা করা হবে। 

 

প্রেসিডেন্ট মার্কোসের জন্যও এ নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়ন এবং ২০২৮ সালের উত্তরসূরি নির্বাচনেও এ ফলাফল বড় প্রভাব ফেলবে।

এক সময়ের রাজনৈতিক মিত্র এই দুই নেতা বর্তমানে মুখোমুখি।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে সারা দুতের্তে’র বিরুদ্ধে দুর্নীতি এবং প্রেসিডেন্ট হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে সিনেট অভিশংসন করে। 

 

এরপর মার্চ মাসে তার পিতা এবং প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) পাঠানো হয়, যেখানে তার বিরুদ্ধে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধের’ অভিযোগে বিচার চলছে।

সারা দুতের্তে এ ঘটনাকে ‘অপহরণ’ বলে উল্লেখ করেন এবং বলেন, ‘দুতের্তে পরিবারকে মুছে ফেললে কে লাভবান হবে? ফিলিপিনোরা নয়।’

এদিকে, আইসিসিতে বন্দি থাকা অবস্থাতেই সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতের্তে তার নিজ শহর দাবাও সিটির মেয়র পদে প্রার্থী হয়েছেন।

 

ফিলিপাইনের আইনে দণ্ডপ্রাপ্ত না হলে প্রার্থী হওয়া আইনসঙ্গত। এক জরিপ বলছে, দাবাওতে এখনও তার জনপ্রিয়তা তুঙ্গে।

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ফিলিপাইনে কঠোর নিরাপত্তা নেয়া হয়েছে। ১,৬৩,০০০ এর বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থাও মাঠে রয়েছে।

 

এই বিভাগের আরও খবর