img

পেহেলগামের পর্যটক হত্যাকাণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ‘সুনির্দিষ্ট হামলা’কে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলার সঙ্গে তুলনা করছেন অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী। তাদের দাবি, পাকিস্তানকে লক্ষ্য করে ভারত যে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা যেন ‘ইসরায়েলি প্লেবুক’ অনুসরণ করে করা হয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন বেসামরিক মানুষ নিহত হন। যাদের অধিকাংশই ছিলেন পর্যটক।

নিহত হওয়ার দুই সপ্তাহ পর বুধবার ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ‘সন্ত্রাসী অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে একাধিক সুনির্দিষ্ট হামলা চালায়।

 

হামলার পর এক্স-এ পোস্ট করে ভারতে নিযুক্ত ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত রিউভেন আজার বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আত্মরক্ষার অধিকার ভারতের আছে। নিরীহ মানুষের ওপর অপরাধ করা সন্ত্রাসীদের কোনো আশ্রয় নেই।’

গাজায় হামাসের আক্রমণের পর ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল এই বক্তব্য বারবার তুলে ধরেছে।

হামাসের হামলায় এক হাজার ২০০ ইসরায়েলি নিহত হয় এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় বলে ইসরায়েল দাবি করেছে। এর পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৫১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানায় গাজার স্বাস্থ্য বিভাগ।

 

পেহেলগাম হামলার পরদিনই ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে সমবেদনা জানান এবং বলেন, ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ইসরায়েল ভারতের পাশে আছে।’

ভারত এই হামলার জন্য পাকিস্তানভিত্তিক লস্কর-ই- তৈয়্যেবা, জইশ-ই-মোহাম্মদ ও হিজবুল মুজাহিদিনকে দায়ী করেছে।

তবে পাকিস্তান তার সম্পৃক্ততা অস্বীকার করেছে এবং পাল্টা প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে দাবি করেছে, তারা ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারত-ইসরায়েল সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছে, বিশেষ করে ২০১৭ সালে নরেন্দ্র মোদির ঐতিহাসিক ইসরায়েল সফরের পর।

সূত্র : আল-আরাবিয়া ইংলিশ।

এই বিভাগের আরও খবর


সর্বশেষ