img

সিলেটে বাংলাদেশ ‘এ’ দলের জয়টা যেন অনুমিতই ছিল। ৩৪৫ রানের লক্ষ্য বলে কথা! ৮৭ রানের জয়ে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজও নিজেদের করে নিয়েছে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের দল। সিলেটেই আগামী ১০ মে সিরিজের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ‘এ’ দলকে ধবলধোলাই করার লক্ষ্যে নামবে বাংলাদেশ।

সিরিজ জয়ের ম্যাচে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন সোহান।

 

তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। চতুর্থ উইকেটে তাদের করা ২২৫ রানের জুটিতেই তো এই বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করায় বাংলাদেশ। দুর্দান্ত জুটিটা গড়ার পথে সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন দুজনে। অঙ্কনের ১০৫ রানের বিপরীতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ১১২ রানের ইনিংস খেলেছেন সোহান।

 

সোহান ১০১ বলের ইনিংসটি সাজিয়েছেন সমান ৭ চার ও ছক্কায়। অন্যদিকে অঙ্কন ১০৮ বলের ইনিংস সাজিয়েছেন ৭ চার ও ৫ ছক্কায়। এ ছাড়া বড় সংগ্রহে এনামুল হক বিজয়ের ৩৯ রানের বিপরীতে ৪০ রানের ইনিংস খেলেছেন ওপেনার নাঈম শেখ। তাতেই ৫ উইকেটে ৩৪৪ রানের সংগ্রহ পায় বাংলাদেশ।

 

প্রতিপক্ষের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট নিয়েছেন ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক।

 

লক্ষ্য শুরু করতে নেমে ভালো করেছিল নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেল ফিলিপস ও কার্টিস হেফি। ব্যক্তিগত ৫ রানে হেফিকে উইকেটরক্ষক সোহানের ক্যাচ বানিয়ে ৫২ রানের জুটি ভাঙেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। জুটি ভাঙলেও নিজের সহজাত খেলাটা ঠিক খেলছিলেন অন্য ওপেনার ফিলিপস। কিউইদের দ্বিতীয় ব্যাটার হিসেবে যখন দলীয় ৯৯ রানে আউট হলেন তখন তার ব্যক্তিগত রান ৭৯।

 

৫৪ বলের ইনিংসটি ১৪ চার ও ২ ছক্কায় সাজান ফিলিপস। তার বিদায়ের পরেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় বাংলাদেশ। সেই নিয়ন্ত্রণ এনে দিতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন প্রথম উইকেট নেওয়া সৈকত। দ্রুত আরও ২ উইকেট তুলে নিয়ে প্রতিপক্ষের স্কোর দাঁড় করান ১১৬ রানে ৫ উইকেট। পরে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি নিউজিল্যান্ড।

 

শেষ দিকে মিচ হেই ৩৮ রান ও ক্রিস্টিয়ান ক্লার্ক অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলে পরাজয়ের ব্যবধানটা ১০০ রানের নিচে নেমে এনেছেন। প্রতিপক্ষ ২৫৭ রানে অলআউট হওয়ায় ৮৭ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেওয়া সৈকতের বিপরীতে ২ টি করে উইকেট নিয়েছেন শরীফুল ইসলাম, তানভীর ইসলাম ও শামীম হোসেন পাটোয়ারী।

এই বিভাগের আরও খবর