হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা অনুদান বাতিল করলেন ট্রাম্প

ট্রাম্প প্রশাসনের কথা না শুনলে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়কে যুক্তরাষ্ট্র সরকার ভবিষ্যতে আর কোনো গবেষণা অনুদান বা আর্থিক সহায়তা দেবে না জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এক চিঠি পাঠিয়েছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই ঘটনাকে দেশটির সবচেয়ে প্রাচীন ও ধনী উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হার্ভার্ডের উপর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রম্পের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন বিশ্লেষকরা।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ড. অ্যালান গারবার-এর কাছে গতকাল সোমবার (৫ মে) পাঠানো এক চিঠিতে যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা মন্ত্রী লিন্ডা ম্যাকমাহন বলেন, ‘এই চিঠির মাধ্যমে জানানো হচ্ছে, হার্ভার্ড যেন আর কোনো ফেডারেল অনুদান চায় না, কারণ আর কিছুই দেওয়া হবে না।’
চিঠিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও প্রকাশ করেন ম্যাকমাহন।
এতে তিনি হার্ভার্ডকে ‘দেশের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার প্রতি উপহাস’ বলে উল্লেখ করেন এবং অভিযোগ করেন যে, বিদেশি শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহিংস আচরণ করছে এবং আমেরিকার প্রতি অবমাননাকর মনোভাব দেখাচ্ছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-এর হামলার পর গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিরোধিতায় হার্ভার্ড ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদগুলো প্রশাসনের ‘বিরোধী’ হিসেবে চিহ্নিত হয়। তবে এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
হার্ভার্ড প্রেসিডেন্ট গারবার সম্প্রতি দাবি করেন, ‘অনধিকার চাহিদাগুলো দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর এক নজিরবিহীন নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চায় সরকার।’
চিঠির শেষ দিকে ম্যাকমাহন লিখেন, ‘হার্ভার্ড এখন থেকে একটি বেসরকারিভাবে পরিচালিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে চলবে, এবং এর ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিপুল তহবিল ও সাবেক ধনী ছাত্রদের সহায়তায় নিজের পথ নিজে খুঁজে নেবে।’
তবে হার্ভার্ডের দাবি, এই অনুদান বন্ধের ফলে চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের গবেষণা গুরুতরভাবে ব্যাহত হবে, এবং এর প্রভাব পড়বে ছাত্র, শিক্ষক ও গবেষকদের ওপর।